১১:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ: দলটির প্রতিক্রিয়া ও চলমান সংকট

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সব ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এই সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগ তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে এবং নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাখ্যান করে তাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

গত বছরের জুলাই-আগস্ট মাসে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে শতাধিক মানুষের মৃত্যুর পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগ ও এর নেতাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার শুরু হয়েছে। এই বিচার সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দলটির সব ধরনের কার্যক্রম—অনলাইন ও অফলাইন—নিষিদ্ধ থাকবে বলে ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এই সিদ্ধান্ত সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় নেওয়া হয়েছে।

আওয়ামী লীগ এই নিষেধাজ্ঞাকে “অবৈধ, অগণতান্ত্রিক এবং ফ্যাসিবাদী” আখ্যা দিয়ে প্রত্যাখ্যান করেছে। দলটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এক বিবৃতিতে বলেন, “এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণভাবে অগণতান্ত্রিক। আমরা এই নিষেধাজ্ঞা মানি না এবং আমাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম ও গণসংযোগ অব্যাহত থাকবে।”

বিএনপি ও অন্যান্য বিরোধী দলগুলো এই নিষেধাজ্ঞাকে স্বাগত জানিয়েছে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগকে আইনি প্রক্রিয়ায় নিষিদ্ধ করা একটি সঠিক ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ।”

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশন রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার বিরুদ্ধে সুপারিশ করেছে, কারণ এটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তবে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আশা করছে, এই নিষেধাজ্ঞা আন্তর্জাতিক মহলে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে না।

আওয়ামী লীগ ঘোষণা করেছে যে, তারা আইনি পথে এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে লড়াই করবে এবং জনগণকে সঙ্গে নিয়ে “গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াই” চালিয়ে যাবে। দলটি তাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়, সাংগঠনিক ইউনিট এবং সহযোগী সংগঠনগুলোকেও ‘সতর্ক ও সক্রিয়’ থাকার নির্দেশ দিয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ভবিষ্যতে আরও সংঘাতের আশঙ্কা রয়েছে।

 

ট্যাগ
পোস্টকারীর সকল তথ্য

ট্রাম্প পেলো ২ ট্রিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ, গাজায় থামল না ক্ষুধা ও গণহত্যা

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ: দলটির প্রতিক্রিয়া ও চলমান সংকট

প্রকাশিত হয়েছে: ০১:৩৪:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সব ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এই সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগ তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে এবং নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাখ্যান করে তাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

গত বছরের জুলাই-আগস্ট মাসে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে শতাধিক মানুষের মৃত্যুর পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগ ও এর নেতাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার শুরু হয়েছে। এই বিচার সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দলটির সব ধরনের কার্যক্রম—অনলাইন ও অফলাইন—নিষিদ্ধ থাকবে বলে ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এই সিদ্ধান্ত সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় নেওয়া হয়েছে।

আওয়ামী লীগ এই নিষেধাজ্ঞাকে “অবৈধ, অগণতান্ত্রিক এবং ফ্যাসিবাদী” আখ্যা দিয়ে প্রত্যাখ্যান করেছে। দলটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এক বিবৃতিতে বলেন, “এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণভাবে অগণতান্ত্রিক। আমরা এই নিষেধাজ্ঞা মানি না এবং আমাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম ও গণসংযোগ অব্যাহত থাকবে।”

বিএনপি ও অন্যান্য বিরোধী দলগুলো এই নিষেধাজ্ঞাকে স্বাগত জানিয়েছে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগকে আইনি প্রক্রিয়ায় নিষিদ্ধ করা একটি সঠিক ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ।”

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশন রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার বিরুদ্ধে সুপারিশ করেছে, কারণ এটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তবে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আশা করছে, এই নিষেধাজ্ঞা আন্তর্জাতিক মহলে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে না।

আওয়ামী লীগ ঘোষণা করেছে যে, তারা আইনি পথে এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে লড়াই করবে এবং জনগণকে সঙ্গে নিয়ে “গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াই” চালিয়ে যাবে। দলটি তাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়, সাংগঠনিক ইউনিট এবং সহযোগী সংগঠনগুলোকেও ‘সতর্ক ও সক্রিয়’ থাকার নির্দেশ দিয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ভবিষ্যতে আরও সংঘাতের আশঙ্কা রয়েছে।