সৌদি আরবে চলমান সফরে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে একাধিক চুক্তি হচ্ছে, যার মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত একটি হচ্ছে প্রায় ১০০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র চুক্তি। এই চুক্তির আওতায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে সৌদি আরব বিপুল পরিমাণে অস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জাম কিনবে।
সূত্র জানায়, এই সামরিক প্যাকেজে রয়েছে উন্নত রাডার সিস্টেম, পরিবহন বিমানসহ বিভিন্ন উচ্চ প্রযুক্তির সামরিক উপকরণ। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব ধরে রাখা এবং সৌদি আরবকে ইরান ও অন্যান্য আঞ্চলিক হুমকির বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিতে এ ধরনের চুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরেই সৌদি আরবের অন্যতম প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারী দেশ। তবে জো বাইডেনের শাসনামলে (২০২১) এই সম্পর্কে কিছুটা ভাটা পড়ে। ইয়েমেন যুদ্ধে সৌদি আরবের ভূমিকা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে তখন বাইডেন প্রশাসন দেশটিতে অস্ত্র বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে সম্পর্ক আবার উষ্ণ হতে শুরু করেছে। এই সফর এবং চুক্তিগুলোকে তারই বহিঃপ্রকাশ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এর আগে, সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগজি হত্যাকাণ্ড নিয়েও যুক্তরাষ্ট্র-সৌদি সম্পর্কে টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়েছিল। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান হত্যাকাণ্ডে অনুমোদনের সঙ্গে যুক্ত বলে উল্লেখ করা হলেও, সৌদি আরব সবসময়ই এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
বিশ্লেষকদের মতে, নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক স্বার্থে যুক্তরাষ্ট্র আবার সৌদি আরবের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে আগ্রহী। আর এই অস্ত্র চুক্তি দুই দেশের সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের একটি বড় পদক্ষেপ।
প্রকাশক ও সম্পাদক
© কপিরাইট সমাচার বিশ্ব ২০২৫ | আমাদের ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।