
কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দোহায় আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানান। এটি ২০০৩ সালের পর কোনও মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাতার সফরের দ্বিতীয় ঘটনা।
দোহার আমিরি দিওয়ানে আয়োজিত অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে দুই নেতা করমর্দন করেন ও প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করেন। এরপর শুরু হয় দ্বিপাক্ষিক আলোচনা, যা চলবে দুই দিনব্যাপী।
আমিরি দিওয়ান জানায়, ট্রাম্পের বিমান কাতারের আকাশসীমায় প্রবেশ করলে কাতারি আমিরি বিমান বাহিনীর একটি স্কোয়াড্রন তা পাহারা দেয়। এটি কাতার-মার্কিন সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি বলেন, “এই সফর গাজা উপত্যকার সংকট নিরসনে কাতার-মার্কিন-মিশরীয় যৌথ মধ্যস্থতার প্রচেষ্টাকে ত্বরান্বিত করতে পারে।” তিনি সফরটিকে “আন্তর্জাতিক সমন্বয় বৃদ্ধির একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ” হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
আলোচনার কেন্দ্রীয় বিষয় হিসেবে উঠে এসেছে নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, গাজার উন্নয়ন, ফিলিস্তিনি সংকট এবং দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক ও বিনিয়োগ অংশীদারিত্ব।
এই সফর মার্কিন প্রেসিডেন্টের উপসাগরীয় সফরের দ্বিতীয় গন্তব্য, এর আগে তিনি সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে যান। সফর শুক্রবার শেষ হবে এবং এর মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাতও অন্তর্ভুক্ত থাকবে বলে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে।
২০০৩ সালে প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের সফরের পর এবারই প্রথম কোনও মার্কিন প্রেসিডেন্ট কাতারে পা রাখলেন। কাতারের সরকারি বার্তা সংস্থা এই সফরকে “ব্যতিক্রমী” আখ্যা দিয়ে বলেছে, এটি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম বিদেশ সফরের অংশ।