
عَنْ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ رضي الله عنه قَالَ:
سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ﷺ يَقُولُ:
“إِنَّ الْحَلَالَ بَيِّنٌ، وَإِنَّ الْحَرَامَ بَيِّنٌ، وَبَيْنَهُمَا أُمُورٌ مُشْتَبِهَاتٌ، لَا يَعْلَمُهُنَّ كَثِيرٌ مِنَ النَّاسِ…”
🔍 বাংলা অনুবাদ (সংক্ষেপে):
আবু আব্দুল্লাহ নু’মান ইবনে বাশীর (রাযি.) বলেন,
আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ-কে বলতে শুনেছি:
“নিশ্চয়ই হালাল স্পষ্ট এবং হারামও স্পষ্ট। আর এই দুইয়ের মাঝে কিছু বিষয় আছে যা সন্দেহজনক—অনেকেই তা জানে না। যে ব্যক্তি এসব সন্দেহজনক বিষয় থেকে বাঁচে, সে তার দ্বীন ও সম্মানকে রক্ষা করে। আর যে এতে জড়িয়ে পড়ে, সে হারামে পতিত হওয়ার আশঙ্কায় থাকে…”
- সহীহ বুখারী: হাদিস ৫২ সহীহ মুসলিম: হাদিস ১৫৯৯
✅ সবকিছু যা হালাল — তা স্পষ্ট, নির্ভরযোগ্য ও নিরাপদ।
❌ আর যা হারাম — তা থেকে দূরে থাকাই ফরজ।
⚠️ তবে সবচেয়ে বিপজ্জনক হলো “সন্দেহজনক বিষয়” — যা হারামের কাছাকাছি, কিন্তু পরিষ্কার নয়।
🎯 যেমন:
- সন্দেহজনক উৎস থেকে টাকা আয়
- কোন খাদ্য হালাল না হারাম, নিশ্চিত না হয়ে খাওয়া
- এমন ব্যবসা যেখানে সুদ/ঘুষ মিশে আছে কিনা স্পষ্ট নয়
🧠 কেন এড়িয়ে চলা জরুরি?
→ সন্দেহজনক জিনিসে বারবার জড়িয়ে পড়লে একদিন মানুষ হারামের মধ্যে পড়ে যায়—অনুভব না করেই।
🌱 তাই মুত্তাকি (আল্লাহভীরু) সেই ব্যক্তি, যে হারামের কাছে যেতেই চায় না, বরং সব সন্দেহ থেকেই নিজেকে দূরে রাখে।
🤲 আল্লাহ! তুমি আমাদের হালাল রিজিকে বরকত দাও, আর হারাম ও সন্দেহজনক সবকিছু থেকে হেফাজত করো।
আমিন।