
জুলাই মাসে সংঘটিত গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘প্রধান মাস্টারমাইন্ড’ হিসেবে চিহ্নিত করে একটি মামলার তদন্ত সম্পন্ন করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এটি তার বিরুদ্ধে প্রথম আনুষ্ঠানিক তদন্ত-শেষ হওয়া মামলা, যা নতুন করে রাজনৈতিক ও আইনি বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
তদন্ত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, গণ-আন্দোলনের সময়ে সংঘটিত সহিংসতা, প্রশাসনিক ভাঙন ও রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষয়ক্ষতির পেছনে শেখ হাসিনার পরিকল্পনা, নির্দেশনা ও প্রত্যক্ষ সংশ্লিষ্টতা ছিল।
তদন্ত সংস্থা ইতোমধ্যে প্রসিকিউশনকে চার্জশিট দিয়েছে। আগামী সপ্তাহে আদালতে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ গঠন হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে।
আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীরা একে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তারা বলছেন,
“গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে বিদ্রোহ বলে চিহ্নিত করে শেখ হাসিনার মতো একজন জাতীয় নেত্রীর বিরুদ্ধে মামলা চালানো ইতিহাসের সবচেয়ে দুঃখজনক অধ্যায়।”
অন্যদিকে নতুন ক্ষমতাসীন সরকার বলছে,
“আইনের শাসন প্রতিষ্ঠাই আমাদের মূল লক্ষ্য। কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নন।”
কয়েকটি পশ্চিমা মানবাধিকার সংগঠন পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং তারা বিচার প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে।