১০:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতি মাসে ১ লাখ ৮১ হাজার কোটি টাকার তারল্য সহায়তা

চলতি অর্থবছরে দেশের ব্যাংক খাতে তারল্য সংকট মোকাবিলায় প্রতি মাসে গড়ে ১ লাখ ৮১ হাজার কোটি টাকা সহায়তা দিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মূলত আন্তঃব্যাংক চাহিদা, মুদ্রানীতির ভারসাম্য রক্ষা এবং বাজারে স্বাভাবিক লেনদেন নিশ্চিত করতেই এই সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত সময়ে ব্যাংক খাতকে মোট ১ হাজার ৬২৯ কোটি টাকার বেশি ধার দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, প্রতি মাসে গড়ে ১ লাখ ৮১ হাজার কোটি টাকার তারল্য সহায়তা পেয়েছে ব্যাংকগুলো।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই বিপুল পরিমাণ তারল্য সহায়তা প্রমাণ করে দেশের ব্যাংক খাতে তারল্য ঘাটতি এখনও বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে আছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে চাপ, আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি এবং উচ্চ মূল্যস্ফীতি—এই তিনটি কারণকে ব্যাংকগুলোর তারল্য চাহিদা বৃদ্ধির মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, “অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা আনার পাশাপাশি ব্যাংকগুলোর দৈনন্দিন লেনদেন সচল রাখতেই এই সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। তবে আমরা নজর রাখছি যেন অতিরিক্ত তারল্য মুদ্রাস্ফীতির চাপ না বাড়িয়ে দেয়।”

এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংক মুদ্রানীতির অংশ হিসেবে পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা, রেপো এবং বিশেষ তারল্য সহায়তা কার্যক্রম চালু করেছে। এসব ব্যবস্থার মাধ্যমে ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে স্বল্প মেয়াদি ঋণ নিতে পারছে।

বিশ্লেষকদের মতে, তারল্য সহায়তা একটি অস্থায়ী সমাধান। দীর্ঘমেয়াদে ব্যাংকগুলোর পরিচালন দক্ষতা, খেলাপি ঋণ কমানো এবং আমানত-ঋণের ভারসাম্য রক্ষা করাই হবে টেকসই অর্থনীতির মূল চাবিকাঠি।

ট্যাগ
পোস্টকারীর সকল তথ্য

ট্রাম্প পেলো ২ ট্রিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ, গাজায় থামল না ক্ষুধা ও গণহত্যা

বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতি মাসে ১ লাখ ৮১ হাজার কোটি টাকার তারল্য সহায়তা

প্রকাশিত হয়েছে: ১০:১৭:২৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

চলতি অর্থবছরে দেশের ব্যাংক খাতে তারল্য সংকট মোকাবিলায় প্রতি মাসে গড়ে ১ লাখ ৮১ হাজার কোটি টাকা সহায়তা দিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মূলত আন্তঃব্যাংক চাহিদা, মুদ্রানীতির ভারসাম্য রক্ষা এবং বাজারে স্বাভাবিক লেনদেন নিশ্চিত করতেই এই সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত সময়ে ব্যাংক খাতকে মোট ১ হাজার ৬২৯ কোটি টাকার বেশি ধার দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, প্রতি মাসে গড়ে ১ লাখ ৮১ হাজার কোটি টাকার তারল্য সহায়তা পেয়েছে ব্যাংকগুলো।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই বিপুল পরিমাণ তারল্য সহায়তা প্রমাণ করে দেশের ব্যাংক খাতে তারল্য ঘাটতি এখনও বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে আছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে চাপ, আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি এবং উচ্চ মূল্যস্ফীতি—এই তিনটি কারণকে ব্যাংকগুলোর তারল্য চাহিদা বৃদ্ধির মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, “অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা আনার পাশাপাশি ব্যাংকগুলোর দৈনন্দিন লেনদেন সচল রাখতেই এই সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। তবে আমরা নজর রাখছি যেন অতিরিক্ত তারল্য মুদ্রাস্ফীতির চাপ না বাড়িয়ে দেয়।”

এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংক মুদ্রানীতির অংশ হিসেবে পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা, রেপো এবং বিশেষ তারল্য সহায়তা কার্যক্রম চালু করেছে। এসব ব্যবস্থার মাধ্যমে ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে স্বল্প মেয়াদি ঋণ নিতে পারছে।

বিশ্লেষকদের মতে, তারল্য সহায়তা একটি অস্থায়ী সমাধান। দীর্ঘমেয়াদে ব্যাংকগুলোর পরিচালন দক্ষতা, খেলাপি ঋণ কমানো এবং আমানত-ঋণের ভারসাম্য রক্ষা করাই হবে টেকসই অর্থনীতির মূল চাবিকাঠি।