
প্রায় ২ ট্রিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ চুক্তি ও প্রতিশ্রুতি—দুটি আরব দেশের সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক আলোচনায় এটাই সবচেয়ে বড় শিরোনাম। বিশাল অঙ্কের এই আর্থিক অঙ্গীকার যদি উটে করে বহন করতে হতো, তবে মরুভূমির বালু ছুঁয়ে যেত বিশাল এক কাফেলা, যার শেষ দেখা যেত না দৃষ্টিসীমায়।
তবু, এই বিপুল সম্পদের হাতবদলও পারেনি গাজায় একটা ট্রাক খাবার পাঠানোর ব্যাপারে কোনো কার্যকর রাজনৈতিক চাপ তৈরি করতে। পারেনি থামাতে একবিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়াবহ অবরোধ ও গণহত্যার দৃশ্য, যেখানে শিশুদের জন্য দুধ নেই, হাসপাতালের জন্য জেনারেটর নেই, এবং জীবনের জন্য কোনো নিশ্চয়তা নেই।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই বৈপরীত্য শুধু নৈতিক সংকট নয়, এটি মধ্যপ্রাচ্যের ক্ষমতার রাজনীতির নগ্ন বাস্তবতা।
অন্যদিকে, সাধারণ মানুষ প্রশ্ন তুলছেন—এই বিপুল সম্পদ যদি মানুষ বাঁচাতে ব্যবহৃত না হয়, তাহলে তা আদৌ বিনিয়োগ, নাকি আত্মসমর্পণের আরেক নাম?
এখন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সামনে প্রশ্ন একটাই: অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব কি মানবিক দায়বদ্ধতার বিকল্প হতে পারে?