১২:১৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনৈতিক সহিংসতা: ছাত্রদল নেতা সাম্য নিহত

 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন। মর্মান্তিক এ ঘটনাটি ঘটে বুধবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশের এলাকায়। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

পুলিশ জানায়, নিহত সাম্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন এবং বিএনপির ছাত্রসংগঠন ছাত্রদলের সক্রিয় নেতা হিসেবে পরিচিত। ঘটনার পরপরই তার সহপাঠীরা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল (ছাত্রদল)। সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতারা অভিযোগ করেছেন,

“সরকারি প্রশ্রয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের পরিকল্পিতভাবে টার্গেট করে হত্যা করা হচ্ছে। সাম্য হত্যাকাণ্ড তারই ধারাবাহিকতা।”

ছাত্রদল আরও দাবি করে, সাম্য ছিলেন একজন মেধাবী ও সাহসী কর্মী, যিনি গণতন্ত্র ও ছাত্র অধিকারের প্রশ্নে বরাবরই সোচ্চার ছিলেন।

ডিএমপি সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার তদন্ত চলছে এবং প্রাথমিকভাবে সন্দেহভাজন তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, “এটি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড, নাকি ব্যক্তিগত বিরোধ—তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

🎓 বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে সুষ্ঠু তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে। তবে ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষার্থীরা।

ঘটনার প্রতিবাদে ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারাদেশে বিক্ষোভ ও কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে।
একাধিক জায়গায় মশাল মিছিল ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়।

গত কয়েক মাস ধরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে ছাত্ররাজনীতির নামে সহিংসতা বেড়েছে। বিরোধী দলের অভিযোগ, সরকারবিরোধী রাজনীতিকে দমন করতে পরিকল্পিত টার্গেটিং চলছে। সরকারপক্ষ যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

 

ট্যাগ
পোস্টকারীর সকল তথ্য

ট্রাম্প পেলো ২ ট্রিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ, গাজায় থামল না ক্ষুধা ও গণহত্যা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনৈতিক সহিংসতা: ছাত্রদল নেতা সাম্য নিহত

প্রকাশিত হয়েছে: ১১:০৭:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫

 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন। মর্মান্তিক এ ঘটনাটি ঘটে বুধবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশের এলাকায়। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

পুলিশ জানায়, নিহত সাম্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন এবং বিএনপির ছাত্রসংগঠন ছাত্রদলের সক্রিয় নেতা হিসেবে পরিচিত। ঘটনার পরপরই তার সহপাঠীরা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল (ছাত্রদল)। সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতারা অভিযোগ করেছেন,

“সরকারি প্রশ্রয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের পরিকল্পিতভাবে টার্গেট করে হত্যা করা হচ্ছে। সাম্য হত্যাকাণ্ড তারই ধারাবাহিকতা।”

ছাত্রদল আরও দাবি করে, সাম্য ছিলেন একজন মেধাবী ও সাহসী কর্মী, যিনি গণতন্ত্র ও ছাত্র অধিকারের প্রশ্নে বরাবরই সোচ্চার ছিলেন।

ডিএমপি সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার তদন্ত চলছে এবং প্রাথমিকভাবে সন্দেহভাজন তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, “এটি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড, নাকি ব্যক্তিগত বিরোধ—তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

🎓 বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে সুষ্ঠু তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে। তবে ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষার্থীরা।

ঘটনার প্রতিবাদে ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারাদেশে বিক্ষোভ ও কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে।
একাধিক জায়গায় মশাল মিছিল ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়।

গত কয়েক মাস ধরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে ছাত্ররাজনীতির নামে সহিংসতা বেড়েছে। বিরোধী দলের অভিযোগ, সরকারবিরোধী রাজনীতিকে দমন করতে পরিকল্পিত টার্গেটিং চলছে। সরকারপক্ষ যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।