০৪:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চাহিদার চেয়ে বেশি পশু, দাম কি বাড়বে নাকি কমবে?

আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাজশাহী বিভাগের ৩০২টি পশুর হাটে কোরবানির পশু বেচাকেনা হবে বলে জানিয়েছে বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দফতর। এর মধ্যে ১৬১টি হাট স্থায়ী এবং ১৪১টি অস্থায়ী। হাটগুলোর সুষ্ঠু তত্ত্বাবধান ও পশুদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা নিশ্চিত করতে গঠন করা হয়েছে ২১৩টি ভেটেরিনারি মেডিক্যাল টিম।

বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সরকারি এক তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়, প্রতিটি জেলায় হাটগুলোতে মেডিক্যাল টিমের মাধ্যমে পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও গাভির গর্ভ পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকবে।

প্রাণিসম্পদ বিভাগের হিসাব অনুযায়ী, রাজশাহী বিভাগে এ বছর কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে প্রায় ৪৩ লাখ ৪৪ হাজার পশু। শুধু রাজশাহী জেলাতেই প্রস্তুত রয়েছে ৪ লাখ ৯৬ হাজার ৮৯৩ গবাদিপশু। এর মধ্যে রয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার ৭৪২টি গরু, ৪ হাজার ২৪০টি মহিষ, ৩ লাখ ৪৬ হাজার ৭৬৩টি ছাগল এবং ৩০ হাজার ১৪৮টি ভেড়া।

গত বছরের তুলনায় এ বছর কোরবানিযোগ্য পশুর সংখ্যা বেড়েছে ৩০ হাজার ৬৯৭টি। রাজশাহী জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আতোয়ার রহমান জানিয়েছেন, জেলায় কোরবানির পশুর চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেশি রয়েছে।

পবা উপজেলার খামারি মিজানুর রহমান জানান, গতবারের তুলনায় এবার গরু মোটাতাজাকরণে ব্যয় অনেক বেড়েছে। “ঘাস, ভুট্টা, খৈল ও ভুসিসহ সবকিছুর দাম বেড়েছে। ফলে গরুর দাম কিছুটা বেশি হতে পারে।”

স্থানীয় মুদি দোকানি রহিদুল ইসলাম বলেন, “ডালের ভুসি, কাটা খড়, খৈল—সবকিছুর দাম বাড়ছে কয়েক মাস ধরে।” ফলে পশু পালনেও খরচ বেড়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে।

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান জানান, মহাসড়কের পাশে কোনও হাট বসানো যাবে না। প্রতিটি হাটে সিসি ক্যামেরা, জেনারেটর, পানি ও পয়োনিষ্কাশনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। চুরি, ছিনতাই, জাল টাকার লেনদেন রোধে বাড়ানো হবে পুলিশি টহল ও গোয়েন্দা নজরদারি।

তিনি আরও জানান, হাটে হাসিল নিয়ে দ্বন্দ্ব যেন না হয়, সেজন্য হাট কমিটি, ইজারাদার ও পুলিশের সমন্বয়ে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। কাঁচা চামড়া পাচার ঠেকাতে নেওয়া হবে বিশেষ ব্যবস্থা।

ট্যাগ
পোস্টকারীর সকল তথ্য

চাহিদার চেয়ে বেশি পশু, দাম কি বাড়বে নাকি কমবে?

প্রকাশিত হয়েছে: ১০:৫৯:০৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫

আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাজশাহী বিভাগের ৩০২টি পশুর হাটে কোরবানির পশু বেচাকেনা হবে বলে জানিয়েছে বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দফতর। এর মধ্যে ১৬১টি হাট স্থায়ী এবং ১৪১টি অস্থায়ী। হাটগুলোর সুষ্ঠু তত্ত্বাবধান ও পশুদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা নিশ্চিত করতে গঠন করা হয়েছে ২১৩টি ভেটেরিনারি মেডিক্যাল টিম।

বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সরকারি এক তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়, প্রতিটি জেলায় হাটগুলোতে মেডিক্যাল টিমের মাধ্যমে পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও গাভির গর্ভ পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকবে।

প্রাণিসম্পদ বিভাগের হিসাব অনুযায়ী, রাজশাহী বিভাগে এ বছর কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে প্রায় ৪৩ লাখ ৪৪ হাজার পশু। শুধু রাজশাহী জেলাতেই প্রস্তুত রয়েছে ৪ লাখ ৯৬ হাজার ৮৯৩ গবাদিপশু। এর মধ্যে রয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার ৭৪২টি গরু, ৪ হাজার ২৪০টি মহিষ, ৩ লাখ ৪৬ হাজার ৭৬৩টি ছাগল এবং ৩০ হাজার ১৪৮টি ভেড়া।

গত বছরের তুলনায় এ বছর কোরবানিযোগ্য পশুর সংখ্যা বেড়েছে ৩০ হাজার ৬৯৭টি। রাজশাহী জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আতোয়ার রহমান জানিয়েছেন, জেলায় কোরবানির পশুর চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেশি রয়েছে।

পবা উপজেলার খামারি মিজানুর রহমান জানান, গতবারের তুলনায় এবার গরু মোটাতাজাকরণে ব্যয় অনেক বেড়েছে। “ঘাস, ভুট্টা, খৈল ও ভুসিসহ সবকিছুর দাম বেড়েছে। ফলে গরুর দাম কিছুটা বেশি হতে পারে।”

স্থানীয় মুদি দোকানি রহিদুল ইসলাম বলেন, “ডালের ভুসি, কাটা খড়, খৈল—সবকিছুর দাম বাড়ছে কয়েক মাস ধরে।” ফলে পশু পালনেও খরচ বেড়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে।

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান জানান, মহাসড়কের পাশে কোনও হাট বসানো যাবে না। প্রতিটি হাটে সিসি ক্যামেরা, জেনারেটর, পানি ও পয়োনিষ্কাশনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। চুরি, ছিনতাই, জাল টাকার লেনদেন রোধে বাড়ানো হবে পুলিশি টহল ও গোয়েন্দা নজরদারি।

তিনি আরও জানান, হাটে হাসিল নিয়ে দ্বন্দ্ব যেন না হয়, সেজন্য হাট কমিটি, ইজারাদার ও পুলিশের সমন্বয়ে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। কাঁচা চামড়া পাচার ঠেকাতে নেওয়া হবে বিশেষ ব্যবস্থা।