
বঙ্গোপসাগরে নতুন করে সৃষ্টি হয়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’। ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড়টি বর্তমানে গভীর নিম্নচাপ হিসেবে অবস্থান করছে এবং তা দ্রুত শক্তি সঞ্চয় করে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়টি আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ভারতের ওড়িশা উপকূল হয়ে বাংলাদেশের খুলনা অঞ্চল পর্যন্ত আঘাত হানতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
এই ঘূর্ণিঝড়টির নামকরণ করেছে শ্রীলঙ্কা, যা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সমন্বিত নামকরণ প্রক্রিয়ার অংশ। ‘শক্তি’ নামটি প্রতীক হিসেবে ধরা হচ্ছে প্রবল শক্তির, যা এ ধরনের ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাব্য বিধ্বংসী প্রভাবকেও নির্দেশ করে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, ঘূর্ণিঝড়টি যদি এই গতিপথে অগ্রসর হয়, তবে খুলনা, বরিশাল, এবং চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় জেলাগুলোতে ঝড়ো হাওয়া ও ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত গভীর সাগরে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চলমান তীব্র দাবদাহের মধ্যে এই ঘূর্ণিঝড় নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। অতিরিক্ত গরমে জনজীবন যেখানে বিপর্যস্ত, সেখানে ঘূর্ণিঝড়জনিত দুর্যোগ মানবিক পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় উপকূলীয় জেলা প্রশাসনগুলোকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। সাইক্লোন শেল্টারগুলো খোলার প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে, এবং স্বেচ্ছাসেবক দলগুলোকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
আবহাওয়ার উন্নত প্রযুক্তি ও উপগ্রহ চিত্রের মাধ্যমে পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং নতুন তথ্য পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই জনগণকে জানানো হবে।