🤝 মুসলিম ভাইয়ের দুঃখ-কষ্ট দূর করার ফজিলত

ইসলাম একজন মুসলমানকে কেবল নামাজ, রোজা ও ইবাদতের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখেনি; বরং পরস্পরের প্রতি সহানুভূতি, সহমর্মিতা ও সহযোগিতার শিক্ষা দিয়েছে। যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের দুঃখ-কষ্ট লাঘবে এগিয়ে আসে, তার জন্য রয়েছে আল্লাহর বিশেষ সাহায্য ও আখিরাতের মুক্তির সুসংবাদ।

ইসলাম এমন একটি জীবনব্যবস্থা, যেখানে শুধু নিজের উপকার নয়—অন্যের কল্যাণও একটি বড় ইবাদত হিসেবে বিবেচিত হয়। দুনিয়ায় মুসলিম ভাইয়ের দুঃখ-দুর্দশা দূর করা, কিংবা তার কোনো কষ্ট লাঘব করা শুধু মানবিক দায়িত্বই নয়—এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে সাহায্য ও রহমত লাভ করার এক গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।

📘 সহীহ বুখারী, হাদীস : ২৪৪২

রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন:

“যে ব্যক্তি তার মুসলিম ভাইয়ের অভাব মোচনে সাহায্য করবে,
আল্লাহ তাআলাও তার অভাব মোচনে সাহায্য করবেন।
যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানের দুঃখ-কষ্ট দূর করবে,
আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার বিপদসমূহের মধ্যে একটি বড় বিপদ দূর করে দেবেন।
আর যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানের দোষত্রুটি গোপন রাখবে,
আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার দোষত্রুটি গোপন রাখবেন।”

📗 তিরমিজি, হাদীস : ১৯৩০ | আবু দাউদ, হাদীস : ৪৯৪৬

রাসুলুল্লাহ (সা.) আরও বলেন:

“যে ব্যক্তি কোনো মুমিনের পার্থিব দুঃখ-কষ্ট দূর করবে,
আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার দুঃখ-কষ্ট দূর করবেন।
যে ব্যক্তি কোনো সংকটাপন্ন ব্যক্তির সংকট নিরসনে সাহায্য করবে,
আল্লাহ তার দুনিয়া ও আখিরাতের যাবতীয় সংকট নিরসন করে দেবেন।
যে ব্যক্তি কোনো মুসলিমের দোষ গোপন রাখে,
আল্লাহও দুনিয়া ও আখিরাতে তার দোষ গোপন রাখবেন।
আল্লাহ বান্দার সাহায্য করেন যতক্ষণ সে তার ভাইয়ের সাহায্যে নিয়োজিত থাকে।”

আরও বর্ণিত হয়েছে:

“যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানের দুঃখ-কষ্ট দূর করে দেয়,
আল্লাহ তাআলা কিয়ামতের দিন তার বিপদসমূহের একটি বড় বিপদ দূর করে দেবেন।”

• মানুষের বিপদে পাশে দাঁড়ানো হলো ইবাদত।
• দুনিয়ায় দুঃখ লাঘব করলে আখিরাতে মুক্তির দ্বার খুলে যায়।
• মুমিনের দোষ গোপন রাখা শুধু সামাজিক শান্তিই আনে না, বরং আখিরাতে পরিত্রাণের কারণ হয়।
• আল্লাহর সাহায্য পেতে হলে আমাদের একে অপরের পাশে দাঁড়াতে হবে।

🔖 আসুন, আমরা একে অপরের দুঃখ-কষ্টে পাশে দাঁড়িয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করি। আল্লাহ আমাদের এই মহান গুণে ভূষিত করুন—আমিন।