০৫:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সিঙ্গারবিল সীমান্তে বিএসএফের ‘পুশ-ইন’ চেষ্টা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার সিঙ্গারবিল সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের পুশ-ইনের চেষ্টা প্রতিহত করেছে বিজিবি ও স্থানীয় বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দিবাগত রাত আনুমানিক ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ ছাড়াই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পুশ-ইনের ইঙ্গিত পেয়ে বিজিবি ২৫ ব্যাটালিয়ন দ্রুত সতর্ক অবস্থান নেয়। একইসঙ্গে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা মসজিদে মাইকিং এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বার্তা ছড়িয়ে গ্রামবাসীদের সতর্ক করেন। দ্রুত সাড়া দিয়ে সিঙ্গারবিল, বিষ্ণুপুর, নলঘরিয়া, মেরাসানী ও নোয়াবাদী গ্রামের শতাধিক মানুষ রাতেই সীমান্তে জড়ো হন। স্থানীয়দের উপস্থিতি এবং বিজিবির প্রস্তুতির মুখে বিএসএফ পিছু হটতে বাধ্য হয়।

সিঙ্গারবিল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য বাচ্চু মিয়া বলেন, “বিজিবির কাছ থেকে খবর পেয়ে রাতেই আমরা এলাকায় মাইকিং করি। গ্রামবাসী জড়ো হয়ে গেলে বিএসএফ পিছু হটে।”

আরেক ইউপি সদস্য মামুন চৌধুরী জানান, “বিএসএফ গোপনে পুশ-ইন করতে এসেছিল। স্থানীয়দের উপস্থিতি এবং বিজিবির কড়া অবস্থানের কারণে তারা সরে যেতে বাধ্য হয়।”

বিজয়নগরের ইউএনও সাধনা ত্রিপুরা বলেন, “সীমান্তের পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। তবে বিজিবি ও প্রশাসন সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।”

বিজিবি ২৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জাব্বার আহাম্মেদ বলেন, “গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আমরা আগে থেকেই সতর্ক ছিলাম। স্থানীয় জনগণের সম্পৃক্ততার মাধ্যমে একটি বড় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রতিহত করা সম্ভব হয়েছে।”

এই ঘটনার পর সিঙ্গারবিল সীমান্তসহ আশপাশের এলাকায় টহল ও নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। স্থানীয়দের মধ্যে স্বস্তি ফিরলেও সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ এখনও রয়ে গেছে।

 

ট্যাগ
পোস্টকারীর সকল তথ্য

সিঙ্গারবিল সীমান্তে বিএসএফের ‘পুশ-ইন’ চেষ্টা

প্রকাশিত হয়েছে: ০২:৩০:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার সিঙ্গারবিল সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের পুশ-ইনের চেষ্টা প্রতিহত করেছে বিজিবি ও স্থানীয় বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দিবাগত রাত আনুমানিক ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ ছাড়াই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পুশ-ইনের ইঙ্গিত পেয়ে বিজিবি ২৫ ব্যাটালিয়ন দ্রুত সতর্ক অবস্থান নেয়। একইসঙ্গে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা মসজিদে মাইকিং এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বার্তা ছড়িয়ে গ্রামবাসীদের সতর্ক করেন। দ্রুত সাড়া দিয়ে সিঙ্গারবিল, বিষ্ণুপুর, নলঘরিয়া, মেরাসানী ও নোয়াবাদী গ্রামের শতাধিক মানুষ রাতেই সীমান্তে জড়ো হন। স্থানীয়দের উপস্থিতি এবং বিজিবির প্রস্তুতির মুখে বিএসএফ পিছু হটতে বাধ্য হয়।

সিঙ্গারবিল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য বাচ্চু মিয়া বলেন, “বিজিবির কাছ থেকে খবর পেয়ে রাতেই আমরা এলাকায় মাইকিং করি। গ্রামবাসী জড়ো হয়ে গেলে বিএসএফ পিছু হটে।”

আরেক ইউপি সদস্য মামুন চৌধুরী জানান, “বিএসএফ গোপনে পুশ-ইন করতে এসেছিল। স্থানীয়দের উপস্থিতি এবং বিজিবির কড়া অবস্থানের কারণে তারা সরে যেতে বাধ্য হয়।”

বিজয়নগরের ইউএনও সাধনা ত্রিপুরা বলেন, “সীমান্তের পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। তবে বিজিবি ও প্রশাসন সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।”

বিজিবি ২৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জাব্বার আহাম্মেদ বলেন, “গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আমরা আগে থেকেই সতর্ক ছিলাম। স্থানীয় জনগণের সম্পৃক্ততার মাধ্যমে একটি বড় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রতিহত করা সম্ভব হয়েছে।”

এই ঘটনার পর সিঙ্গারবিল সীমান্তসহ আশপাশের এলাকায় টহল ও নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। স্থানীয়দের মধ্যে স্বস্তি ফিরলেও সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ এখনও রয়ে গেছে।