১২:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মধ্যপ্রাচ্যে নতুন যুদ্ধক্ষেত্র: ইয়েমেনেও হামলা চালাল ইসরায়েল

ইয়েমেনের হুথি নিয়ন্ত্রিত হোদেইদা ও আস-সালিফ বন্দরে ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েল। শুক্রবার (১৬ মে) এই হামলায় দুই বন্দর এলাকার অবকাঠামো ধ্বংস করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।

আইডিএফ-এর বিবৃতিতে জানানো হয়, ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলের দিকে চালানো ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার জবাবে এই আক্রমণ চালানো হয়। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “এই বন্দরগুলো অস্ত্র স্থানান্তর ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য ব্যবহৃত হতো।”

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, হামলায় অংশ নিয়েছে বিমান বাহিনীর কয়েক ডজন এয়ারক্রাফট, যার মধ্যে ছিল যুদ্ধবিমান, রিফুয়েলিং ট্যাংকার এবং গোয়েন্দা বিমান। হামলার মূল লক্ষ্য ছিল হুথিদের সামরিক সক্ষমতা ও অস্ত্র সরবরাহ চেইন।

এর আগে, ৬ মে ইয়েমেনে ইসরায়েলি হামলার জবাবে হুথি বিদ্রোহীরা ইসরায়েলের দিকে সাতটি ক্ষেপণাস্ত্র ও দুটি ড্রোন ছোড়ে। এরপর থেকেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে শুরু করে।

আইডিএফ দাবি করেছে, হুথিদের সামরিক সক্ষমতা নস্যাৎ করার লক্ষ্যে হোদেইদা ও আস-সালিফ ছাড়াও রাজধানী সানার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেও হামলা চালানো হয়েছে। তারা জানিয়েছে, হামলায় এমনভাবে ক্ষতি করা হয়েছে যাতে এসব অবকাঠামো পুনর্নির্মাণে কমপক্ষে এক মাস সময় লাগবে।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু হামলার পর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “এটি মাত্র শুরু। হুথিদের বিরুদ্ধে আরও আক্রমণ আসছে। আমরা তাদের নেতাদের টার্গেট করব এবং যেসব স্থাপনা থেকে তারা আমাদের ক্ষতি করতে পারে, তা সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেব।”

ইসরায়েলি একটি সামরিক সূত্র দেশটির আর্মি রেডিওকে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফর শেষ হওয়ার পরই এই অভিযান চালানোর জন্য প্রস্তুত ছিল ইসরায়েল।

এই ঘটনায় ইয়েমেনের মানবিক পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা। কারণ হোদেইদা ও আস-সালিফ বন্দর দুটি দেশের আমদানি-নির্ভর খাদ্য ও ওষুধ সরবরাহের প্রধান কেন্দ্র।

ট্যাগ
জনপ্রিয় সংবাদ

মধ্যপ্রাচ্যে নতুন যুদ্ধক্ষেত্র: ইয়েমেনেও হামলা চালাল ইসরায়েল

প্রকাশিত হয়েছে: ১০:৪৯:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫

ইয়েমেনের হুথি নিয়ন্ত্রিত হোদেইদা ও আস-সালিফ বন্দরে ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েল। শুক্রবার (১৬ মে) এই হামলায় দুই বন্দর এলাকার অবকাঠামো ধ্বংস করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।

আইডিএফ-এর বিবৃতিতে জানানো হয়, ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলের দিকে চালানো ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার জবাবে এই আক্রমণ চালানো হয়। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “এই বন্দরগুলো অস্ত্র স্থানান্তর ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য ব্যবহৃত হতো।”

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, হামলায় অংশ নিয়েছে বিমান বাহিনীর কয়েক ডজন এয়ারক্রাফট, যার মধ্যে ছিল যুদ্ধবিমান, রিফুয়েলিং ট্যাংকার এবং গোয়েন্দা বিমান। হামলার মূল লক্ষ্য ছিল হুথিদের সামরিক সক্ষমতা ও অস্ত্র সরবরাহ চেইন।

এর আগে, ৬ মে ইয়েমেনে ইসরায়েলি হামলার জবাবে হুথি বিদ্রোহীরা ইসরায়েলের দিকে সাতটি ক্ষেপণাস্ত্র ও দুটি ড্রোন ছোড়ে। এরপর থেকেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে শুরু করে।

আইডিএফ দাবি করেছে, হুথিদের সামরিক সক্ষমতা নস্যাৎ করার লক্ষ্যে হোদেইদা ও আস-সালিফ ছাড়াও রাজধানী সানার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেও হামলা চালানো হয়েছে। তারা জানিয়েছে, হামলায় এমনভাবে ক্ষতি করা হয়েছে যাতে এসব অবকাঠামো পুনর্নির্মাণে কমপক্ষে এক মাস সময় লাগবে।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু হামলার পর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “এটি মাত্র শুরু। হুথিদের বিরুদ্ধে আরও আক্রমণ আসছে। আমরা তাদের নেতাদের টার্গেট করব এবং যেসব স্থাপনা থেকে তারা আমাদের ক্ষতি করতে পারে, তা সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেব।”

ইসরায়েলি একটি সামরিক সূত্র দেশটির আর্মি রেডিওকে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফর শেষ হওয়ার পরই এই অভিযান চালানোর জন্য প্রস্তুত ছিল ইসরায়েল।

এই ঘটনায় ইয়েমেনের মানবিক পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা। কারণ হোদেইদা ও আস-সালিফ বন্দর দুটি দেশের আমদানি-নির্ভর খাদ্য ও ওষুধ সরবরাহের প্রধান কেন্দ্র।