
যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরি ও কেনটাকি অঙ্গরাজ্যে ভয়াবহ টর্নেডোর আঘাতে এখন পর্যন্ত অন্তত ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকা আরও অনেক মানুষকে উদ্ধারে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে উদ্ধারকারী দলগুলো। শুক্রবার (১৬ মে) মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যাচ্ছে।
কেনটাকিতে ১৪ জন নিহত
কেনটাকির গভর্নর অ্যান্ডি বেসার শনিবার (১৭ মে) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’-এ দেওয়া এক বার্তায় জানান, রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় টর্নেডোর আঘাতে অন্তত ১৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর একটি হলো লরেল কাউন্টি। সেখানে বহু মানুষ আহত হয়েছেন এবং অনেকে এখনো নিখোঁজ।
কেনটাকির স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা জন রুট জানান, ধসে পড়া ঘরবাড়ির নিচে আটকে পড়া লোকজনকে উদ্ধারে জোর তৎপরতা চলছে।
মিসৌরিতে নিহত ৭ জন, সেন্ট লুইসে ব্যাপক ক্ষতি
মিসৌরির সেন্ট লুইস শহরের মেয়র কারা স্পেনসার জানিয়েছেন, তার শহরে অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “আমাদের শহর আজ শোক পালন করছে। জানমালের যে ক্ষতি হয়েছে সেটি সত্যিই ভয়াবহ।”
মিসৌরির স্কট কাউন্টিতেও আরেকটি টর্নেডো আঘাত হানে, যেখানে আরও দুজনের মৃত্যু হয়। এছাড়া আহত হয়েছেন অনেক মানুষ এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শত শত ঘরবাড়ি।
উইসকনসিন ও টেক্সাসেও প্রভাব
টর্নেডোর প্রভাবে যুক্তরাষ্ট্রের উত্তরাঞ্চলের উইসকনসিনেও হাজার হাজার মানুষ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। গ্রেট লেক অঞ্চলজুড়ে ব্যাপক বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দেয়। অপরদিকে টেক্সাসে উচ্চ তাপমাত্রাজনিত ভয়াবহ দাবদাহ দেখা দিতে পারে বলে সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া বিভাগ।