০৭:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সংবিধান সংস্কার নিয়ে সেনাবাহিনী-রাষ্ট্রপতি সংলাপ, বাড়ছে অস্থিরতা

  • নাতাশা মুন্নি
  • প্রকাশিত হয়েছে: ০২:৪২:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫
  • ৩৩ জন পড়েছেন

বাংলাদেশে সংবিধান সংস্কার ও রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদ নিয়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা চরমে পৌঁছেছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্রের অস্তিত্ব নিয়ে রাষ্ট্রপতির বক্তব্য ঘিরে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে, যা রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা বাড়িয়েছে।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জানান, তার কাছে শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্রের কোনো দালিলিক প্রমাণ নেই। তবে এর আগে তিনি নিজেই জাতির উদ্দেশে ভাষণে বলেছিলেন, শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন এবং তিনি তা গ্রহণ করেছেন। এই পরস্পরবিরোধী বক্তব্যের ফলে রাষ্ট্রপতির নিরপেক্ষতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

রাষ্ট্রপতির বক্তব্যের পর বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ছাত্র সংগঠন তার পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন সংগঠন বঙ্গভবনের সামনে বিক্ষোভ করেছে। তবে বিএনপি রাষ্ট্রপতির অপসারণে এখনই আগ্রহী নয়, কারণ এতে নতুন সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি হতে পারে বলে তারা মনে করছে।

বর্তমানে সংসদ বিলুপ্ত হওয়ায় রাষ্ট্রপতির অভিশংসন সম্ভব নয়। অন্যদিকে, স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের পদ শূন্য থাকায় রাষ্ট্রপতির পদত্যাগপত্র গ্রহণেরও কোনো সাংবিধানিক পথ নেই। এই পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতির অপসারণ বা পদত্যাগ নিয়ে আইনি ও সাংবিধানিক জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে।

বর্তমানে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান দেশের বাইরে রয়েছেন। তার দেশে ফেরার পর রাষ্ট্রপতির ভবিষ্যৎ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদ নিয়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সাংবিধানিক জটিলতা অব্যাহত রয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্যের অভাব এবং সাংবিধানিক শূন্যতা এই সংকটকে আরও গভীর করছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে রাজনৈতিক সমঝোতা ও সংবিধান অনুযায়ী সমাধান প্রয়োজন।

ট্যাগ
পোস্টকারীর সকল তথ্য

নায়িকা নুসরাত ফারিয়া জিজ্ঞাসাবাদ, ডিবির কার্যালয়ে

সংবিধান সংস্কার নিয়ে সেনাবাহিনী-রাষ্ট্রপতি সংলাপ, বাড়ছে অস্থিরতা

প্রকাশিত হয়েছে: ০২:৪২:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫

বাংলাদেশে সংবিধান সংস্কার ও রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদ নিয়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা চরমে পৌঁছেছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্রের অস্তিত্ব নিয়ে রাষ্ট্রপতির বক্তব্য ঘিরে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে, যা রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা বাড়িয়েছে।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জানান, তার কাছে শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্রের কোনো দালিলিক প্রমাণ নেই। তবে এর আগে তিনি নিজেই জাতির উদ্দেশে ভাষণে বলেছিলেন, শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন এবং তিনি তা গ্রহণ করেছেন। এই পরস্পরবিরোধী বক্তব্যের ফলে রাষ্ট্রপতির নিরপেক্ষতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

রাষ্ট্রপতির বক্তব্যের পর বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ছাত্র সংগঠন তার পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন সংগঠন বঙ্গভবনের সামনে বিক্ষোভ করেছে। তবে বিএনপি রাষ্ট্রপতির অপসারণে এখনই আগ্রহী নয়, কারণ এতে নতুন সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি হতে পারে বলে তারা মনে করছে।

বর্তমানে সংসদ বিলুপ্ত হওয়ায় রাষ্ট্রপতির অভিশংসন সম্ভব নয়। অন্যদিকে, স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের পদ শূন্য থাকায় রাষ্ট্রপতির পদত্যাগপত্র গ্রহণেরও কোনো সাংবিধানিক পথ নেই। এই পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতির অপসারণ বা পদত্যাগ নিয়ে আইনি ও সাংবিধানিক জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে।

বর্তমানে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান দেশের বাইরে রয়েছেন। তার দেশে ফেরার পর রাষ্ট্রপতির ভবিষ্যৎ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদ নিয়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সাংবিধানিক জটিলতা অব্যাহত রয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্যের অভাব এবং সাংবিধানিক শূন্যতা এই সংকটকে আরও গভীর করছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে রাজনৈতিক সমঝোতা ও সংবিধান অনুযায়ী সমাধান প্রয়োজন।