
পেহেলগামের হৃদয়বিদারক হত্যাকাণ্ডের জবাবে ভারত কঠোর সামরিক পদক্ষেপ নিয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্দেশে শুরু হওয়া ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর মাধ্যমে পাকিস্তানভিত্তিক সন্ত্রাসীদের ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি অন্তত ১৫টি সামরিক স্থাপনাও ধ্বংস করা হয়েছে।
২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসীরা অতর্কিত হামলা চালিয়ে ২৬ জন নিরীহ ভারতীয় নাগরিককে হত্যা করে। এই নির্মম ঘটনার পর ভারতের প্রতিরক্ষা বাহিনী তৎপর হয় এবং সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে।
অমিত শাহ বলেন, “এটা কেবল প্রতিশোধ নয়, এটা ভারতের নতুন প্রতিরক্ষা নীতি। এখন থেকে যদি কেউ আমাদের নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করে, তাহলে আমরা দ্বিগুণ শক্তি নিয়ে জবাব দেব।”
তিনি আরও জানান, “অপারেশন সিন্দুর”-এর মাধ্যমে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একাধিক কৌশলগত অবকাঠামো বিধ্বস্ত হয়েছে এবং এর ফলে তাদের বিমান বাহিনীর প্রতিক্রিয়া সক্ষমতাও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম সফলভাবে পাকিস্তানের পাল্টা হামলার সব চেষ্টা রুখে দিয়েছে বলেও দাবি করেন শাহ। “একটি ড্রোন বা ক্ষেপণাস্ত্রও আমাদের মাটিতে আঘাত হানতে পারেনি,”— বলেন তিনি।
অমিত শাহ জানান, প্রধানমন্ত্রী মোদির দৃঢ়তা এবং সাহসিকতার ফলেই এই সফলতা এসেছে। তিনি উল্লেখ করেন, মোদি সরকার আসার আগে বারবার সন্ত্রাসী হামলা হলেও ভারত নীরব ছিল। কিন্তু এখন ভারত প্রত্যাঘাত করছে, এবং তা গোটা বিশ্ব দেখছে।
তিনি বলেন, “উরি, পুলওয়ামা, এবং এখন পেহেলগাম— প্রতিবারই মোদি সরকার শক্ত বার্তা দিয়েছে: ভারত আর চুপ করে সহ্য করবে না।”