০৬:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশের রপ্তানি বাধায় ব্যবসায়ীদের উদ্বেগ

ভারতের সীমিত আমদানি নীতিতে বাংলাদেশে ৭৭০ মিলিয়ন ডলারের রপ্তানি ঝুঁকি
বাংলাদেশের তৈরি পোশাকসহ বেশ কয়েকটি রপ্তানিযোগ্য পণ্যের ওপর ভারত হঠাৎ করে আমদানি সীমিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার ফলে বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ে প্রায় ৭৭০ মিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

নতুন এই সীমাবদ্ধতার আওতায় ভারতের শুধু কলকাতা ও নাভা শেভা বন্দর দিয়ে রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ফলে অন্যান্য প্রধান প্রবেশপথ যেমন পেট্রাপোল, বেনাপোল ও অন্যান্য স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য রপ্তানিতে বাধা সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে বাংলাদেশের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে উৎকণ্ঠা ও অসন্তোষ তৈরি হয়েছে।

বাংলাদেশ সরকার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক স্তরে আলোচনা চলছে এবং সরকার দ্রুত সমাধানের আশাবাদ ব্যক্ত করেছে।

বাণিজ্য বিশ্লেষকদের মতে, ভারতের এই পদক্ষেপ বাংলাদেশের জন্য একটি বাণিজ্য-ঝুঁকি সংকেত এবং ভবিষ্যতে রপ্তানি বাজারে বহুমুখীকরণ অপরিহার্য করে তুলেছে।

তৈরি পোশাক (RMG)

হোম টেক্সটাইল

প্লাস্টিক পণ্য ও লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং গুডস

এই পরিস্থিতিতে রপ্তানিকারকরা সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে পণ্য আটকে থাকা ও সময়মতো ডেলিভারি না দিতে পারার কারণে বিদেশি ক্রেতাদের আস্থা হারানোর ঝুঁকি না হয়।
ভারতের এই সিদ্ধান্ত দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কে একটি নতুন বাস্তবতা তৈরি করেছে। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি বহুদিন ধরেই আলোচনার বিষয়, এবং এ ধরনের সীমাবদ্ধতা পারস্পরিক স্বার্থের ক্ষতি করতে পারে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।

 

ট্যাগ

শিক্ষা ভবনের সামনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

বাংলাদেশের রপ্তানি বাধায় ব্যবসায়ীদের উদ্বেগ

প্রকাশিত হয়েছে: ১১:০১:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫

ভারতের সীমিত আমদানি নীতিতে বাংলাদেশে ৭৭০ মিলিয়ন ডলারের রপ্তানি ঝুঁকি
বাংলাদেশের তৈরি পোশাকসহ বেশ কয়েকটি রপ্তানিযোগ্য পণ্যের ওপর ভারত হঠাৎ করে আমদানি সীমিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার ফলে বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ে প্রায় ৭৭০ মিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

নতুন এই সীমাবদ্ধতার আওতায় ভারতের শুধু কলকাতা ও নাভা শেভা বন্দর দিয়ে রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ফলে অন্যান্য প্রধান প্রবেশপথ যেমন পেট্রাপোল, বেনাপোল ও অন্যান্য স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য রপ্তানিতে বাধা সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে বাংলাদেশের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে উৎকণ্ঠা ও অসন্তোষ তৈরি হয়েছে।

বাংলাদেশ সরকার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক স্তরে আলোচনা চলছে এবং সরকার দ্রুত সমাধানের আশাবাদ ব্যক্ত করেছে।

বাণিজ্য বিশ্লেষকদের মতে, ভারতের এই পদক্ষেপ বাংলাদেশের জন্য একটি বাণিজ্য-ঝুঁকি সংকেত এবং ভবিষ্যতে রপ্তানি বাজারে বহুমুখীকরণ অপরিহার্য করে তুলেছে।

তৈরি পোশাক (RMG)

হোম টেক্সটাইল

প্লাস্টিক পণ্য ও লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং গুডস

এই পরিস্থিতিতে রপ্তানিকারকরা সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে পণ্য আটকে থাকা ও সময়মতো ডেলিভারি না দিতে পারার কারণে বিদেশি ক্রেতাদের আস্থা হারানোর ঝুঁকি না হয়।
ভারতের এই সিদ্ধান্ত দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কে একটি নতুন বাস্তবতা তৈরি করেছে। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি বহুদিন ধরেই আলোচনার বিষয়, এবং এ ধরনের সীমাবদ্ধতা পারস্পরিক স্বার্থের ক্ষতি করতে পারে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।