
বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৫.৩৭ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে, যদিও রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় সাম্প্রতিক সময়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই হ্রাসের পেছনে প্রধান কারণ হিসেবে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) বকেয়া পরিশোধকে দায়ী করা হচ্ছে।
- আকু পরিশোধ: আকুর বকেয়া পরিশোধের ফলে রিজার্ভে উল্লেখযোগ্য হ্রাস ঘটেছে।
- বৈদেশিক ঋণ ও সুদ পরিশোধ: ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বৈদেশিক ঋণ ও সুদ পরিশোধের পরিমাণ ২.৬৩৬ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৩০ শতাংশ বেশি।
- রপ্তানি আয়ের ঘাটতি: যদিও রপ্তানি আয় বৃদ্ধি পেয়েছে, তবে তা আমদানি ব্যয় ও ঋণ পরিশোধের তুলনায় কম, ফলে রিজার্ভে ঘাটতি তৈরি হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের ১৭ মে পর্যন্ত দেশের মোট রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৫.৩৭ বিলিয়ন ডলারে। বিপিএম-৬ হিসাব অনুযায়ী, যা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণ করে, রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারের ঘরে রয়েছে।
- বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ: বিনিয়োগবান্ধব নীতি গ্রহণ করে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করা।
- রপ্তানি খাতের উন্নয়ন: নতুন বাজার অনুসন্ধান ও রপ্তানি পণ্যের বৈচিত্র্য বৃদ্ধি।
- রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি: প্রবাসীদের জন্য প্রণোদনা ও সহজতর প্রেরণ প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা।
- আর্থিক শৃঙ্খলা বজায় রাখা: অপ্রয়োজনীয় আমদানি নিয়ন্ত্রণ ও ব্যয় সাশ্রয়ী নীতি গ্রহণ।
বাংলাদেশের অর্থনীতির স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে রিজার্ভের এই হ্রাস মোকাবেলায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি। সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সমন্বিত প্রচেষ্টায় এই চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করা সম্ভব।