১০:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শেরপুরে পাহাড়ি ঢল, চেল্লাখালী নদীর পানি বিপদসীমার ওপরে

ভারতের মেঘালয় ও আসাম রাজ্যে টানা ভারী বর্ষণের প্রভাবে শেরপুরের নদ-নদীগুলোতে পানি বেড়েছে। সোমবার (১৯ মে) রাত ১০টায় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, জেলার চেল্লাখালী নদীর পানি বিপদসীমার ৩৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

গত কয়েকদিন ধরে জেলার বিভিন্ন স্থানে থেমে থেমে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে নদীর পানি বাড়তে শুরু করে। এতে জেলার নিম্নাঞ্চলে আকস্মিক বন্যার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা রয়েছেন চরম উৎকণ্ঠায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আখিনুজ্জামান। তিনি জানান, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি রয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের সোমবার বিকেল ৪টার পরিমাপ অনুযায়ী জেলার বিভিন্ন পয়েন্টে নদীগুলোর পানিপ্রবাহ নিম্নরূপ:

  • ভোগাই নদী (নকুগাঁও পয়েন্ট): বিপদসীমার ৩১৫ সেন্টিমিটার নিচে

  • ভোগাই নদী (নালিতাবাড়ী পয়েন্ট): বিপদসীমার ৩২০ সেন্টিমিটার নিচে

  • পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ: বিপদসীমার ৬০৫ সেন্টিমিটার নিচে

এদিকে, পাহাড়ি ঢলের কারণে হঠাৎ করে পানির প্রবাহ বেড়ে গেলে যেকোনো সময় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগকে আগাম প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।

শেরপুর জেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় প্রতি বর্ষা মৌসুমেই পাহাড়ি ঢলের কারণে নদ-নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি পায়, যা হঠাৎ বন্যার ঝুঁকি তৈরি করে।


ট্যাগ

শিক্ষা ভবনের সামনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

শেরপুরে পাহাড়ি ঢল, চেল্লাখালী নদীর পানি বিপদসীমার ওপরে

প্রকাশিত হয়েছে: ১১:২৩:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫

ভারতের মেঘালয় ও আসাম রাজ্যে টানা ভারী বর্ষণের প্রভাবে শেরপুরের নদ-নদীগুলোতে পানি বেড়েছে। সোমবার (১৯ মে) রাত ১০টায় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, জেলার চেল্লাখালী নদীর পানি বিপদসীমার ৩৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

গত কয়েকদিন ধরে জেলার বিভিন্ন স্থানে থেমে থেমে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে নদীর পানি বাড়তে শুরু করে। এতে জেলার নিম্নাঞ্চলে আকস্মিক বন্যার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা রয়েছেন চরম উৎকণ্ঠায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আখিনুজ্জামান। তিনি জানান, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি রয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের সোমবার বিকেল ৪টার পরিমাপ অনুযায়ী জেলার বিভিন্ন পয়েন্টে নদীগুলোর পানিপ্রবাহ নিম্নরূপ:

  • ভোগাই নদী (নকুগাঁও পয়েন্ট): বিপদসীমার ৩১৫ সেন্টিমিটার নিচে

  • ভোগাই নদী (নালিতাবাড়ী পয়েন্ট): বিপদসীমার ৩২০ সেন্টিমিটার নিচে

  • পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ: বিপদসীমার ৬০৫ সেন্টিমিটার নিচে

এদিকে, পাহাড়ি ঢলের কারণে হঠাৎ করে পানির প্রবাহ বেড়ে গেলে যেকোনো সময় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগকে আগাম প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।

শেরপুর জেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় প্রতি বর্ষা মৌসুমেই পাহাড়ি ঢলের কারণে নদ-নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি পায়, যা হঠাৎ বন্যার ঝুঁকি তৈরি করে।