০৫:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আজ পুতিন-ট্রাম্প ফোনে, বৈঠকের সম্ভাবনা নির্ভর নেতাদের সম্মতিতে

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে আজ বিকেল ৫টায় টেলিফোনে কথোপকথন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ।

পেসকভ এই ফোনালাপকে “গুরুত্বপূর্ণ” বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, “এই আলোচনার গুরুত্ব আমরা অস্বীকার করতে পারি না। বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতি এবং ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে এটি একটি তাৎপর্যপূর্ণ সংলাপ হতে যাচ্ছে।”

রুশ প্রেসিডেন্টের প্রেস সচিব আরও বলেন, “পুতিন এবং ট্রাম্পের মধ্যে ভবিষ্যতে সরাসরি বৈঠকের সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তবে, এমন একটি বৈঠক আয়োজন সম্পূর্ণভাবে দুই নেতার ব্যক্তিগত সম্মতির উপর নির্ভরশীল।”

পেসকভ যোগ করেন, “এই ধরনের উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের জন্য রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং পারস্পরিক সম্মতি প্রয়োজন। যদি উভয় নেতা সম্মত হন, তবে আলোচনার পথ উন্মুক্ত থাকবে।”

বিশ্লেষকদের মতে, রাশিয়া ও পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে সম্পর্ক যখন ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে, তখন পুতিন ও ট্রাম্পের এই সংলাপ নতুন করে কিছু কূটনৈতিক ইঙ্গিত দিতে পারে। বিশেষ করে ইউক্রেন সংকট, ন্যাটোর সম্প্রসারণ, এবং যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে ট্রাম্পের সম্ভাব্য প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে এই আলোচনাকে ঘিরে আন্তর্জাতিক মহলে আগ্রহ বাড়ছে।

এখন দেখার বিষয়, এই ফোনালাপ কেবল সৌজন্য বিনিময়েই সীমাবদ্ধ থাকে, নাকি ভবিষ্যতের আরও গভীর রাজনৈতিক সংলাপ ও সমঝোতার ভিত্তি তৈরি করে।

ট্যাগ

আজ পুতিন-ট্রাম্প ফোনে, বৈঠকের সম্ভাবনা নির্ভর নেতাদের সম্মতিতে

প্রকাশিত হয়েছে: ১০:৩৪:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে আজ বিকেল ৫টায় টেলিফোনে কথোপকথন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ।

পেসকভ এই ফোনালাপকে “গুরুত্বপূর্ণ” বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, “এই আলোচনার গুরুত্ব আমরা অস্বীকার করতে পারি না। বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতি এবং ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে এটি একটি তাৎপর্যপূর্ণ সংলাপ হতে যাচ্ছে।”

রুশ প্রেসিডেন্টের প্রেস সচিব আরও বলেন, “পুতিন এবং ট্রাম্পের মধ্যে ভবিষ্যতে সরাসরি বৈঠকের সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তবে, এমন একটি বৈঠক আয়োজন সম্পূর্ণভাবে দুই নেতার ব্যক্তিগত সম্মতির উপর নির্ভরশীল।”

পেসকভ যোগ করেন, “এই ধরনের উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের জন্য রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং পারস্পরিক সম্মতি প্রয়োজন। যদি উভয় নেতা সম্মত হন, তবে আলোচনার পথ উন্মুক্ত থাকবে।”

বিশ্লেষকদের মতে, রাশিয়া ও পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে সম্পর্ক যখন ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে, তখন পুতিন ও ট্রাম্পের এই সংলাপ নতুন করে কিছু কূটনৈতিক ইঙ্গিত দিতে পারে। বিশেষ করে ইউক্রেন সংকট, ন্যাটোর সম্প্রসারণ, এবং যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে ট্রাম্পের সম্ভাব্য প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে এই আলোচনাকে ঘিরে আন্তর্জাতিক মহলে আগ্রহ বাড়ছে।

এখন দেখার বিষয়, এই ফোনালাপ কেবল সৌজন্য বিনিময়েই সীমাবদ্ধ থাকে, নাকি ভবিষ্যতের আরও গভীর রাজনৈতিক সংলাপ ও সমঝোতার ভিত্তি তৈরি করে।