১১:৫৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজার আকাশে ব্রিটিশ গোয়েন্দা বিমান, অথচ সংসদে ইসরায়েলের সমালোচনা!

একদিকে ইসরায়েলের প্রতি প্রকাশ্য সামরিক সহায়তা, অন্যদিকে সংসদে ইসরায়েলবিরোধী অবস্থান—এই দ্বৈত ভূমিকার কারণে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার।

গত রাতে যুক্তরাজ্য ইসরায়েলে একটি A400M সামরিক পরিবহন বিমান পাঠিয়েছে, যা অস্ত্র ও সৈন্য পরিবহনে সক্ষম। সূত্র মতে, বিমানটি তেল আবিব পৌঁছানোর কিছুক্ষণের মধ্যেই গাজার আকাশে একটি গোয়েন্দা বিমান পাঠানো হয়, যার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল ইসরায়েলের জন্য গোপন তথ্য ও নজরদারি সহায়তা প্রদান।

তবে এই সামরিক সহায়তার ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই আজ ব্রিটিশ পার্লামেন্টে স্টারমার দিয়েছেন একটি ইসরায়েলবিরোধী বক্তব্য। বক্তব্যে তিনি গাজায় সংঘটিত “নির্বিচার হামলা ও মানবিক বিপর্যয়ের” নিন্দা জানান এবং ইসরায়েলের “অসামঞ্জস্যপূর্ণ প্রতিক্রিয়া” নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

বিরোধীদল, মানবাধিকার সংগঠন এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা স্টারমারের এই নীতিকে ‘দ্বিমুখী ও অস্পষ্ট’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। একাধিক পর্যবেক্ষকের মতে, তিনি একদিকে ইসরায়েলকে পরোক্ষ সামরিক সহায়তা দিয়ে অন্যদিকে গণতান্ত্রিক ভারসাম্য রক্ষায় সংসদে মানবাধিকার সংক্রান্ত ভাষণ দিচ্ছেন—যা ব্রিটিশ পররাষ্ট্র নীতির ওপর প্রশ্ন তুলছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় বিষয়টি ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে। কেউ কেউ স্টারমারকে “রাজনৈতিক দ্বিচারিতা’র প্রতীক” বলছেন, আবার কেউ কেউ মনে করছেন এটি আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক চাপ সামাল দেওয়ার কৌশল।

একজন এক্স (সাবেক টুইটার) ব্যবহারকারী লিখেছেন:

“A400M পাঠিয়ে আপনি কোন মানবতা রক্ষা করছেন? গাজার আকাশে গোয়েন্দা বিমান আর সংসদে নরম বিবৃতি—এটা কি দ্বিচারিতা নয়?”

বিশ্লেষকরা বলছেন, স্টারমার সরকার হয়তো যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় জোটের চাপ সামলে চলার চেষ্টা করছে, যেখানে ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তা দিয়ে আবার নিজ দেশের নাগরিকদের মানবিক চেতনা বজায় রাখার নাটাই টানতে হচ্ছে একসাথে।

তবে প্রশ্ন রয়ে যায়—এই কৌশল কতোটা দীর্ঘমেয়াদে কার্যকর হবে?

 

ট্যাগ
জনপ্রিয় সংবাদ

গাজার আকাশে ব্রিটিশ গোয়েন্দা বিমান, অথচ সংসদে ইসরায়েলের সমালোচনা!

প্রকাশিত হয়েছে: ১২:৪৯:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫

একদিকে ইসরায়েলের প্রতি প্রকাশ্য সামরিক সহায়তা, অন্যদিকে সংসদে ইসরায়েলবিরোধী অবস্থান—এই দ্বৈত ভূমিকার কারণে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার।

গত রাতে যুক্তরাজ্য ইসরায়েলে একটি A400M সামরিক পরিবহন বিমান পাঠিয়েছে, যা অস্ত্র ও সৈন্য পরিবহনে সক্ষম। সূত্র মতে, বিমানটি তেল আবিব পৌঁছানোর কিছুক্ষণের মধ্যেই গাজার আকাশে একটি গোয়েন্দা বিমান পাঠানো হয়, যার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল ইসরায়েলের জন্য গোপন তথ্য ও নজরদারি সহায়তা প্রদান।

তবে এই সামরিক সহায়তার ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই আজ ব্রিটিশ পার্লামেন্টে স্টারমার দিয়েছেন একটি ইসরায়েলবিরোধী বক্তব্য। বক্তব্যে তিনি গাজায় সংঘটিত “নির্বিচার হামলা ও মানবিক বিপর্যয়ের” নিন্দা জানান এবং ইসরায়েলের “অসামঞ্জস্যপূর্ণ প্রতিক্রিয়া” নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

বিরোধীদল, মানবাধিকার সংগঠন এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা স্টারমারের এই নীতিকে ‘দ্বিমুখী ও অস্পষ্ট’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। একাধিক পর্যবেক্ষকের মতে, তিনি একদিকে ইসরায়েলকে পরোক্ষ সামরিক সহায়তা দিয়ে অন্যদিকে গণতান্ত্রিক ভারসাম্য রক্ষায় সংসদে মানবাধিকার সংক্রান্ত ভাষণ দিচ্ছেন—যা ব্রিটিশ পররাষ্ট্র নীতির ওপর প্রশ্ন তুলছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় বিষয়টি ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে। কেউ কেউ স্টারমারকে “রাজনৈতিক দ্বিচারিতা’র প্রতীক” বলছেন, আবার কেউ কেউ মনে করছেন এটি আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক চাপ সামাল দেওয়ার কৌশল।

একজন এক্স (সাবেক টুইটার) ব্যবহারকারী লিখেছেন:

“A400M পাঠিয়ে আপনি কোন মানবতা রক্ষা করছেন? গাজার আকাশে গোয়েন্দা বিমান আর সংসদে নরম বিবৃতি—এটা কি দ্বিচারিতা নয়?”

বিশ্লেষকরা বলছেন, স্টারমার সরকার হয়তো যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় জোটের চাপ সামলে চলার চেষ্টা করছে, যেখানে ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তা দিয়ে আবার নিজ দেশের নাগরিকদের মানবিক চেতনা বজায় রাখার নাটাই টানতে হচ্ছে একসাথে।

তবে প্রশ্ন রয়ে যায়—এই কৌশল কতোটা দীর্ঘমেয়াদে কার্যকর হবে?