০৩:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘কাঁচের প্রাসাদে’ ট্রাম্পকন্যা: ইভাঙ্কা-কুশনারের বিলাসী জীবনের ঝলক

যুক্তরাষ্ট্রের  প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কন্যা ও হোয়াইট হাউস উপদেষ্টা ইভাঙ্কা ট্রাম্প এবং তার স্বামী জ্যারেড কুশনার এখন ফ্লোরিডার মিয়ামিতে বিলাসবহুল একটি কনডোতে বসবাস করছেন।

পরিস্থিতি সম্পর্কে ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, এই দম্পতি মিয়ামির উপকূলীয় সার্ফসাইড এলাকায় একটি বিলাসবহুল কনডোমিনিয়ামের একটি বৃহৎ ইউনিট অন্তত এক বছরের জন্য লিজে নিয়েছেন। এটি এক ধরনের অস্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা, কারণ তারা ইতোমধ্যে মিয়ামির অভিজাত ‘ইন্ডিয়ান ক্রিক আইল্যান্ডে’ ৩২ মিলিয়ন ডলার মূল্যের একটি জমি কিনেছেন এবং সেখানে স্থায়ী বসবাসের জন্য একটি বাড়ি নির্মাণ করছেন।

নতুন এই ভবনটি ইতালীয় স্থপতি আন্তোনিও সিটেরিও-র নকশায় নির্মিত এবং একে দক্ষিণ ফ্লোরিডার সবচেয়ে ব্যয়বহুল কনডো উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর একটি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। ১৬-ইউনিটের এই ভবনে রয়েছে সরাসরি লিফট অ্যাক্সেস (ফিঙ্গারপ্রিন্ট রিকগনিশন প্রযুক্তিসহ), ইউরোপীয় সাদা ওক কাঠের মেঝে, রোমান ট্র্যাভার্টাইন ছাদবিশিষ্ট প্রশস্ত বালকনি, ইনডোর হিটেড সুইমিং পুল, ছাদের উপর ব্যক্তিগত টেনিস কোর্ট, ফিটনেস সেন্টার, শিশুদের খেলার ঘর এবং অভিজাত বাসিন্দাদের জন্য লাউঞ্জ।

ভবনে ২৪ ঘণ্টার সিকিউরিটি ব্যবস্থা থাকলেও, দম্পতির পক্ষ থেকে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।

ট্রাম্প প্রশাসনের সময় ইভাঙ্কা ও কুশনার ওয়াশিংটন ডিসির কালোরামা এলাকায় অবস্থান করতেন, যেখানে তারা চিলির একজন বিলিয়নিয়ারের কাছ থেকে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলেন। এবার তারা ফিরেছেন ফ্লোরিডায়, যেখানে তাদের পরিবারের প্রধান ডোনাল্ড ট্রাম্প বর্তমানে মার-এ-লাগো এস্টেটে অবস্থান করছেন।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদন অনুসারে, ভবনের একটি পেন্টহাউস সম্প্রতি নিউ ইয়র্কের এক প্রাইভেট ইকুইটি নির্বাহীর কাছে ৩৩ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি হয়েছে। ফলে এই কনডোমিনিয়াম কতটা বিলাসবহুল ও ব্যয়বহুল তা সহজেই অনুমেয়।

ইভাঙ্কা ও কুশনারের এই নতুন পদক্ষেপ রাজনৈতিক পরিসর থেকে ব্যক্তিগত জীবনের দিকে ধাবমান হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে। স্থায়ী আবাস নির্মাণের আগ পর্যন্ত এই কনডোই তাদের নতুন ঠিকানা—আর ফ্লোরিডার বিলাসবহুল জীবনযাপনেই হয়তো তারা খুঁজছেন নতুন স্বস্তি।

ট্যাগ

‘কাঁচের প্রাসাদে’ ট্রাম্পকন্যা: ইভাঙ্কা-কুশনারের বিলাসী জীবনের ঝলক

প্রকাশিত হয়েছে: ১০:৪৬:০৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের  প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কন্যা ও হোয়াইট হাউস উপদেষ্টা ইভাঙ্কা ট্রাম্প এবং তার স্বামী জ্যারেড কুশনার এখন ফ্লোরিডার মিয়ামিতে বিলাসবহুল একটি কনডোতে বসবাস করছেন।

পরিস্থিতি সম্পর্কে ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, এই দম্পতি মিয়ামির উপকূলীয় সার্ফসাইড এলাকায় একটি বিলাসবহুল কনডোমিনিয়ামের একটি বৃহৎ ইউনিট অন্তত এক বছরের জন্য লিজে নিয়েছেন। এটি এক ধরনের অস্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা, কারণ তারা ইতোমধ্যে মিয়ামির অভিজাত ‘ইন্ডিয়ান ক্রিক আইল্যান্ডে’ ৩২ মিলিয়ন ডলার মূল্যের একটি জমি কিনেছেন এবং সেখানে স্থায়ী বসবাসের জন্য একটি বাড়ি নির্মাণ করছেন।

নতুন এই ভবনটি ইতালীয় স্থপতি আন্তোনিও সিটেরিও-র নকশায় নির্মিত এবং একে দক্ষিণ ফ্লোরিডার সবচেয়ে ব্যয়বহুল কনডো উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর একটি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। ১৬-ইউনিটের এই ভবনে রয়েছে সরাসরি লিফট অ্যাক্সেস (ফিঙ্গারপ্রিন্ট রিকগনিশন প্রযুক্তিসহ), ইউরোপীয় সাদা ওক কাঠের মেঝে, রোমান ট্র্যাভার্টাইন ছাদবিশিষ্ট প্রশস্ত বালকনি, ইনডোর হিটেড সুইমিং পুল, ছাদের উপর ব্যক্তিগত টেনিস কোর্ট, ফিটনেস সেন্টার, শিশুদের খেলার ঘর এবং অভিজাত বাসিন্দাদের জন্য লাউঞ্জ।

ভবনে ২৪ ঘণ্টার সিকিউরিটি ব্যবস্থা থাকলেও, দম্পতির পক্ষ থেকে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।

ট্রাম্প প্রশাসনের সময় ইভাঙ্কা ও কুশনার ওয়াশিংটন ডিসির কালোরামা এলাকায় অবস্থান করতেন, যেখানে তারা চিলির একজন বিলিয়নিয়ারের কাছ থেকে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলেন। এবার তারা ফিরেছেন ফ্লোরিডায়, যেখানে তাদের পরিবারের প্রধান ডোনাল্ড ট্রাম্প বর্তমানে মার-এ-লাগো এস্টেটে অবস্থান করছেন।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদন অনুসারে, ভবনের একটি পেন্টহাউস সম্প্রতি নিউ ইয়র্কের এক প্রাইভেট ইকুইটি নির্বাহীর কাছে ৩৩ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি হয়েছে। ফলে এই কনডোমিনিয়াম কতটা বিলাসবহুল ও ব্যয়বহুল তা সহজেই অনুমেয়।

ইভাঙ্কা ও কুশনারের এই নতুন পদক্ষেপ রাজনৈতিক পরিসর থেকে ব্যক্তিগত জীবনের দিকে ধাবমান হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে। স্থায়ী আবাস নির্মাণের আগ পর্যন্ত এই কনডোই তাদের নতুন ঠিকানা—আর ফ্লোরিডার বিলাসবহুল জীবনযাপনেই হয়তো তারা খুঁজছেন নতুন স্বস্তি।