০৯:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চুক্তি ব্যর্থ হলে যুদ্ধ? ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সম্ভাব্য সামরিক অভিযান

দখলদার ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় সামরিক হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন ও এক্সিওস। এক্সিওস জানায়, ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার পারমাণবিক চুক্তি আলোচনা ভেস্তে গেলে, ইসরায়েল তাৎক্ষণিকভাবে ইরানে সামরিক অভিযান শুরু করবে।

এমন হুমকির জবাবে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইরান। বৃহস্পতিবার (২২ মে) জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসকে লেখা চিঠিতে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি বলেন, “ইহুদিবাদী ইসরায়েলের যে কোনো দুঃসাহসিকতার বিরুদ্ধে ইরান কঠোর সতর্কতা দিচ্ছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যদি কার্যকর ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে নিজেদের পারমাণবিক অবকাঠামো রক্ষায় ইরান ‘বিশেষ ব্যবস্থা’ নিতে বাধ্য হবে।”

এক্সিওসকে দেওয়া তথ্যে ইসরায়েলি সূত্রগুলো জানায়, ইরানের বিরুদ্ধে একদিনের অভিযানে সীমাবদ্ধ থাকবে না ইসরায়েল। বরং এটি হতে পারে এক সপ্তাহব্যাপী সামরিক অভিযান। এই হামলার মূল লক্ষ্য হবে ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র ও পারমাণবিক গবেষণা স্থাপনাগুলো।

সূত্রগুলোর দাবি, প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু চুক্তি ভেস্তে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন। আলোচনা ব্যর্থ হলেই ইসরায়েল দ্রুত হামলা চালাবে। তবে যুক্তরাষ্ট্র এখনো কোনো সামরিক অনুমোদন দেয়নি। তারপরও, যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত নেতানিয়াহু নিজেই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন মার্কিন কর্মকর্তারা।

ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে মতপার্থক্য এখনও দূর হয়নি। যুক্তরাষ্ট্র দাবি করছে, ইরান যেন বেসামরিক ব্যবহারেও ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করতে না পারে। কিন্তু তেহরান সাফ জানিয়ে দিয়েছে, তারা এই বিষয়ে কোনো ছাড় দেবে না। চুক্তি হোক বা না হোক—তারা ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করবেই।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ইসরায়েলের এই পরিকল্পিত সামরিক অভিযান শুধু ইরান নয়, বরং গোটা মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা তৈরি করবে। ব্যাপক তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়তে পারে, যা মানবিক ও পরিবেশগত বিপর্যয় ডেকে আনবে।

ইতোমধ্যে একাধিক আন্তর্জাতিক সংস্থা ও দেশ ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সংগঠন দ্রুত কূটনৈতিক উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

ট্যাগ

শিক্ষা ভবনের সামনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

চুক্তি ব্যর্থ হলে যুদ্ধ? ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সম্ভাব্য সামরিক অভিযান

প্রকাশিত হয়েছে: ১১:০২:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

দখলদার ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় সামরিক হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন ও এক্সিওস। এক্সিওস জানায়, ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার পারমাণবিক চুক্তি আলোচনা ভেস্তে গেলে, ইসরায়েল তাৎক্ষণিকভাবে ইরানে সামরিক অভিযান শুরু করবে।

এমন হুমকির জবাবে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইরান। বৃহস্পতিবার (২২ মে) জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসকে লেখা চিঠিতে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি বলেন, “ইহুদিবাদী ইসরায়েলের যে কোনো দুঃসাহসিকতার বিরুদ্ধে ইরান কঠোর সতর্কতা দিচ্ছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যদি কার্যকর ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে নিজেদের পারমাণবিক অবকাঠামো রক্ষায় ইরান ‘বিশেষ ব্যবস্থা’ নিতে বাধ্য হবে।”

এক্সিওসকে দেওয়া তথ্যে ইসরায়েলি সূত্রগুলো জানায়, ইরানের বিরুদ্ধে একদিনের অভিযানে সীমাবদ্ধ থাকবে না ইসরায়েল। বরং এটি হতে পারে এক সপ্তাহব্যাপী সামরিক অভিযান। এই হামলার মূল লক্ষ্য হবে ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র ও পারমাণবিক গবেষণা স্থাপনাগুলো।

সূত্রগুলোর দাবি, প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু চুক্তি ভেস্তে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন। আলোচনা ব্যর্থ হলেই ইসরায়েল দ্রুত হামলা চালাবে। তবে যুক্তরাষ্ট্র এখনো কোনো সামরিক অনুমোদন দেয়নি। তারপরও, যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত নেতানিয়াহু নিজেই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন মার্কিন কর্মকর্তারা।

ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে মতপার্থক্য এখনও দূর হয়নি। যুক্তরাষ্ট্র দাবি করছে, ইরান যেন বেসামরিক ব্যবহারেও ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করতে না পারে। কিন্তু তেহরান সাফ জানিয়ে দিয়েছে, তারা এই বিষয়ে কোনো ছাড় দেবে না। চুক্তি হোক বা না হোক—তারা ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করবেই।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ইসরায়েলের এই পরিকল্পিত সামরিক অভিযান শুধু ইরান নয়, বরং গোটা মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা তৈরি করবে। ব্যাপক তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়তে পারে, যা মানবিক ও পরিবেশগত বিপর্যয় ডেকে আনবে।

ইতোমধ্যে একাধিক আন্তর্জাতিক সংস্থা ও দেশ ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সংগঠন দ্রুত কূটনৈতিক উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।