০১:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মিথ্যার যুগে সত্যের বাতিঘর: নবীজির চরিত্রে সত্যবাদিতা

রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর অন্যতম শ্রেষ্ঠ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ছিল তাঁর সত্যবাদিতা। তিনি কখনো মিথ্যা বলতেন না—বন্ধু, শত্রু, আত্মীয়, পর এমনকি শৈশবকালেও না। তাঁর সততা ও সত্যবাদিতার কারণে মক্কার অধিবাসীরা তাঁকে উপাধি দিয়েছিল “আস-সাদিক” অর্থাৎ “সত্যবাদী” এবং “আল-আমীন” অর্থাৎ “বিশ্বস্ত”। এমনকি যারা তাঁর দাওয়াত মেনে ইসলামে প্রবেশ করেনি, তারাও কখনো তাঁর সত্যবাদিতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে না।

মক্কার কাফির নেতারাও তাঁকে বলত, “আমরা তোমাকে কখনো মিথ্যা বলতে দেখিনি।”
একবার এক সাহাবী প্রশ্ন করলেন, মানুষ কি মিথ্যা কথা বলে মুসলমান হতে পারে? রাসূল (সাঃ) বললেন, “মু’মিন কখনো মিথ্যা বলতে পারে না।” (মুআত্তা মালিক)

আল্লাহ তা‘আলা বলেন—
وَمَا يَنطِقُ عَنِ الْهَوَىٰ، إِنْ هُوَ إِلَّا وَحْيٌ يُوحَىٰ
“তিনি নিজ ইচ্ছা অনুসারে কিছু বলেন না। এটি তো ওহী, যা তাঁর প্রতি নাযিল হয়।”
— (সূরা আন-নাজম: ৩-৪)

দাওয়াতের শুরুতে যখন কুরায়শদের সামনে তিনি আহ্বান নিয়ে দাঁড়ালেন, তখন প্রথমেই জিজ্ঞেস করলেন,
“হে কুরায়শগণ! আমি যদি বলি, পাহাড়ের পেছনে একটি বাহিনী আসছে, তোমরা কি বিশ্বাস করবে?”
তারা সবাই বলল, “অবশ্যই বিশ্বাস করব। আমরা কখনো তোমাকে মিথ্যা বলতে দেখিনি।”

ট্যাগ

শিক্ষা ভবনের সামনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

মিথ্যার যুগে সত্যের বাতিঘর: নবীজির চরিত্রে সত্যবাদিতা

প্রকাশিত হয়েছে: ০৬:৩৫:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫

রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর অন্যতম শ্রেষ্ঠ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ছিল তাঁর সত্যবাদিতা। তিনি কখনো মিথ্যা বলতেন না—বন্ধু, শত্রু, আত্মীয়, পর এমনকি শৈশবকালেও না। তাঁর সততা ও সত্যবাদিতার কারণে মক্কার অধিবাসীরা তাঁকে উপাধি দিয়েছিল “আস-সাদিক” অর্থাৎ “সত্যবাদী” এবং “আল-আমীন” অর্থাৎ “বিশ্বস্ত”। এমনকি যারা তাঁর দাওয়াত মেনে ইসলামে প্রবেশ করেনি, তারাও কখনো তাঁর সত্যবাদিতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে না।

মক্কার কাফির নেতারাও তাঁকে বলত, “আমরা তোমাকে কখনো মিথ্যা বলতে দেখিনি।”
একবার এক সাহাবী প্রশ্ন করলেন, মানুষ কি মিথ্যা কথা বলে মুসলমান হতে পারে? রাসূল (সাঃ) বললেন, “মু’মিন কখনো মিথ্যা বলতে পারে না।” (মুআত্তা মালিক)

আল্লাহ তা‘আলা বলেন—
وَمَا يَنطِقُ عَنِ الْهَوَىٰ، إِنْ هُوَ إِلَّا وَحْيٌ يُوحَىٰ
“তিনি নিজ ইচ্ছা অনুসারে কিছু বলেন না। এটি তো ওহী, যা তাঁর প্রতি নাযিল হয়।”
— (সূরা আন-নাজম: ৩-৪)

দাওয়াতের শুরুতে যখন কুরায়শদের সামনে তিনি আহ্বান নিয়ে দাঁড়ালেন, তখন প্রথমেই জিজ্ঞেস করলেন,
“হে কুরায়শগণ! আমি যদি বলি, পাহাড়ের পেছনে একটি বাহিনী আসছে, তোমরা কি বিশ্বাস করবে?”
তারা সবাই বলল, “অবশ্যই বিশ্বাস করব। আমরা কখনো তোমাকে মিথ্যা বলতে দেখিনি।”