০৬:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চীনের তিন উদ্যোগে বাংলাদেশের অংশীদারত্ব চায় শি জিনপিং

বিশ্ব কূটনৈতিক অঙ্গনে এক গুরুত্বপূর্ণ বার্তায়, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারপ্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে তিনটি বৈশ্বিক উদ্যোগে চীনের ঘনিষ্ঠ অংশীদার হিসেবে দেখতে চেয়েছেন। এই প্রস্তাবের মধ্য দিয়ে চীন-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্ক নতুন মাত্রায় প্রবেশ করতে যাচ্ছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রেসিডেন্ট শি যেসব উদ্যোগে বাংলাদেশের সক্রিয় অংশগ্রহণ চেয়েছেন তা হলো:

বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (BRI):
দক্ষিণ এশিয়ায় অবকাঠামো নির্মাণ, বন্দর উন্নয়ন ও বাণিজ্যিক করিডোর তৈরির অংশ হিসেবে চীন বাংলাদেশকে গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী হিসেবে চায়।

গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ (GDI):
দারিদ্র্য বিমোচন, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যে চীন ইউনূস সরকারের সাথে যৌথ কাজ করতে আগ্রহী।

গ্লোবাল সিকিউরিটি ইনিশিয়েটিভ (GSI):
আঞ্চলিক নিরাপত্তা, সন্ত্রাস দমন ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতার লক্ষ্যে একটি ন্যূনতম আস্থা ও সহযোগিতার কাঠামো গড়ে তুলতে চীনের প্রস্তাব।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান,

“আমরা চীনের এই কৌশলগত আগ্রহকে ইতিবাচকভাবে দেখছি। তবে বাংলাদেশের সার্বভৌম স্বার্থ ও আঞ্চলিক ভারসাম্য বজায় রেখেই যেকোনো আন্তর্জাতিক অংশগ্রহণ বিবেচনা করা হবে।”

বিশ্লেষকদের মতে, এই প্রস্তাব বাংলাদেশের জন্য একদিকে যেমন অর্থনৈতিক সুযোগ এনে দিতে পারে, তেমনি ভারতের মতো প্রতিবেশী ও পশ্চিমা মিত্রদের সঙ্গে সম্পর্কের ভারসাম্য রক্ষা করাও হয়ে উঠবে বড় চ্যালেঞ্জ।

ট্যাগ

শিক্ষা ভবনের সামনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

চীনের তিন উদ্যোগে বাংলাদেশের অংশীদারত্ব চায় শি জিনপিং

প্রকাশিত হয়েছে: ০৮:৩১:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫

বিশ্ব কূটনৈতিক অঙ্গনে এক গুরুত্বপূর্ণ বার্তায়, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারপ্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে তিনটি বৈশ্বিক উদ্যোগে চীনের ঘনিষ্ঠ অংশীদার হিসেবে দেখতে চেয়েছেন। এই প্রস্তাবের মধ্য দিয়ে চীন-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্ক নতুন মাত্রায় প্রবেশ করতে যাচ্ছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রেসিডেন্ট শি যেসব উদ্যোগে বাংলাদেশের সক্রিয় অংশগ্রহণ চেয়েছেন তা হলো:

বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (BRI):
দক্ষিণ এশিয়ায় অবকাঠামো নির্মাণ, বন্দর উন্নয়ন ও বাণিজ্যিক করিডোর তৈরির অংশ হিসেবে চীন বাংলাদেশকে গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী হিসেবে চায়।

গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ (GDI):
দারিদ্র্য বিমোচন, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যে চীন ইউনূস সরকারের সাথে যৌথ কাজ করতে আগ্রহী।

গ্লোবাল সিকিউরিটি ইনিশিয়েটিভ (GSI):
আঞ্চলিক নিরাপত্তা, সন্ত্রাস দমন ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতার লক্ষ্যে একটি ন্যূনতম আস্থা ও সহযোগিতার কাঠামো গড়ে তুলতে চীনের প্রস্তাব।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান,

“আমরা চীনের এই কৌশলগত আগ্রহকে ইতিবাচকভাবে দেখছি। তবে বাংলাদেশের সার্বভৌম স্বার্থ ও আঞ্চলিক ভারসাম্য বজায় রেখেই যেকোনো আন্তর্জাতিক অংশগ্রহণ বিবেচনা করা হবে।”

বিশ্লেষকদের মতে, এই প্রস্তাব বাংলাদেশের জন্য একদিকে যেমন অর্থনৈতিক সুযোগ এনে দিতে পারে, তেমনি ভারতের মতো প্রতিবেশী ও পশ্চিমা মিত্রদের সঙ্গে সম্পর্কের ভারসাম্য রক্ষা করাও হয়ে উঠবে বড় চ্যালেঞ্জ।