
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে অনুষ্ঠিত জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের সব নির্বাচনকে আনুষ্ঠানিকভাবে অবৈধ ঘোষণা করার আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
শনিবার রাতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ দাবি জানান এনসিপির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন,
“শেখ হাসিনার সময়ে ফ্যাসিবাদী শাসন ব্যবস্থায় নির্বাচন হয়েছিল। জনগণের ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছিল। রাতে ভোট হয়েছে, ডামি প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়েছেন। সেই সব নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ এবং আইনি অবৈধতা ঘোষণার দাবি রাখে।”
⚖️ নির্বাচন অবৈধ ঘোষণার পক্ষে যুক্তি
নাহিদ ইসলাম জানান, বর্তমান সরকার জুলাই অভ্যুত্থানের পর গণআন্দোলনের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দায়িত্ব নিয়েছে এবং সেই দায়বদ্ধতা থেকেই আগের সরকার পরিচালিত সব নির্বাচনের বৈধতা পুনর্মূল্যায়নের সময় এসেছে।
তিনি বলেন,
“আদালতের মাধ্যমে নির্বাচনগুলোকে অবৈধ ঘোষণার একটা পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। আমরা চাই সরকার নিজে থেকে দায়িত্ব নিয়ে বিষয়টি স্পষ্ট করুক, যাতে বিশৃঙ্খলা না হয়।”
🕊️ জুলাই গণআন্দোলন ও শহীদ পরিবার প্রসঙ্গে
নাহিদ ইসলাম জানান, জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহত পরিবারদের পুনর্বাসন কার্যক্রম এখনও অসম্পূর্ণ।
“সব শহীদ পরিবার এখনো সঞ্চয়পত্র পায়নি, মাসিক ভাতা চালু হয়নি। দ্রুত প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের আহ্বান জানানো হয়েছে।”
🗺️ রাজনৈতিক রোডম্যাপের দাবি
এনসিপি সরকারের কাছে একটি সমন্বিত রোডম্যাপ প্রকাশের দাবি জানায়, যাতে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত থাকবে:
- জুলাই সনদ ঘোষণার নির্ধারিত সময়সীমা (জুলাই মাসের মধ্যে)
- গণপরিষদ ও আইনসভা নির্বাচনসংক্রান্ত পরিকল্পনা
- ডিসেম্বর থেকে জুলাইয়ের মধ্যে নির্ধারিত জাতীয় নির্বাচন রোডম্যাপ
- নির্বাচন কমিশনের পুনর্গঠন এবং দ্রুত স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজন
নাহিদ ইসলাম বলেন,
“নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থা রাখা যাচ্ছে না। এটি পুনর্গঠন করে দ্রুত স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।”
তিনি আরও জানান, প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে তাদের বেশ কিছু দাবির বিষয়ে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, বিশেষ করে জুলাই সনদ প্রকাশ এবং গণবিচার কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে।