
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেল শান্তি পুরস্কারপ্রাপ্ত অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস চলমান রাজনৈতিক অচলাবস্থার মধ্যে পদত্যাগের কথা ভাবছেন। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতার অভাব, সংস্কার প্রক্রিয়ায় অগ্রগতির ঘাটতি এবং সেনাবাহিনীর সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন তাঁকে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে বাধ্য করছে।
অধ্যাপক ইউনূসের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রধান নাহিদ ইসলাম জানিয়েছেন, ইউনূস বর্তমান রাজনৈতিক পরিবেশে দায়িত্ব পালন করতে ক্রমাগত অসুবিধা অনুভব করছেন। তিনি তাঁর পদত্যাগের ভাষণের খসড়াও প্রস্তুত করেছিলেন, তবে উপদেষ্টাদের পরামর্শে আপাতত তা স্থগিত রেখেছেন।
বিএনপি স্পষ্ট করেছে যে, তারা অধ্যাপক ইউনূসের পদত্যাগ চায় না; বরং ডিসেম্বরের মধ্যে একটি সুনির্দিষ্ট নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানাচ্ছে। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, “আমরা প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ চাইনি। আমরা ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ চেয়েছি।”
অন্যদিকে, সেনাবাহিনীও চলতি বছরের মধ্যেই নির্বাচন আয়োজনের পক্ষে মত দিয়েছে। সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান সম্প্রতি বলেছেন, ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন হওয়া উচিত। তবে অধ্যাপক ইউনূস মনে করেন, ২০২৬ সালের জুন নাগাদ নির্বাচন আয়োজনের জন্য উপযুক্ত সময় হবে।
এই পরিস্থিতিতে, অন্তর্বর্তী সরকারের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। অধ্যাপক ইউনূসের পদত্যাগের সম্ভাবনা এবং রাজনৈতিক দলগুলোর চাপের মুখে সরকারের স্থিতিশীলতা প্রশ্নের মুখে পড়েছে।