০৬:৪৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পশ্চিম তীরের প্রাচীন শহর সেবাস্তিয়াকে ইহুদীকরণের পথে ইসরায়েল: ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা

ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা সতর্ক করেছেন যে পশ্চিম তীরের প্রাচীন শহর সেবাস্তিয়ায় ইসরায়েলের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড “সংযুক্তি এবং ইহুদীকরণ” প্রক্রিয়ার অংশ, যা ওই অঞ্চলের প্রত্নতাত্ত্বিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ধ্বংসের পথে এগোচ্ছে।

সেবাস্তিয়ার মেয়র মোহাম্মদ আজেম তুরস্কের আনাদোলু এজেন্সিকে বলেন, “প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানে যা ঘটছে তা একটি বিপজ্জনক উন্নয়ন এবং স্পষ্টতই আগ্রাসন। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ সেখানে তথাকথিত ‘সামেরিয়া পার্ক’ বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেছে, যা আমাদের ঐতিহাসিক অধিকার ও সংস্কৃতির ওপর একটি আক্রমণ।”

তিনি আরও যোগ করেন, “ইসরায়েল যুদ্ধের সময়ে আন্তর্জাতিক দৃষ্টি অন্যত্র সরিয়ে রেখে সেবাস্তিয়ার নিয়ন্ত্রণ গ্রহণের পথে ধীরে ধীরে অগ্রসর হচ্ছে। তারা আমাদের সাংস্কৃতিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক ঐতিহ্যের উপর তাদের সার্বভৌমত্ব চাপিয়ে দিতে চায়।”

এ বিষয়ে ফিলিস্তিনি পর্যটন ও পুরাকীর্তি মন্ত্রণালয়ের পরিচালক দুরঘাম ফারেস বলেন, “এই প্রকল্প কোনো উন্নয়নমূলক কার্যক্রম নয়; বরং এটি একটি সুপরিকল্পিত সংযুক্তি ও ইহুদীকরণ প্রচেষ্টা।”

তিনি বলেন, “ইসরায়েল প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানটিকে একটি সামরিক ব্যারাক এবং বসতি পার্কে রূপান্তরিত করছে, যার মাধ্যমে এর আসল ঐতিহাসিক চরিত্রকে মুছে ফেলা হচ্ছে।”

সেবাস্তিয়া শহরটি ঐতিহাসিকভাবে রোমান, বাইজান্টাইন এবং ইসলামি সভ্যতার গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন বহন করে। এই এলাকা ফিলিস্তিনি জাতীয় পরিচয়ের অংশ হিসেবে বিবেচিত এবং বহু পর্যটক ও গবেষক এখানে প্রত্নতাত্ত্বিক আকর্ষণে আগ্রহী হন।

তবে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া এখনো জানানো হয়নি।

ফিলিস্তিনিরা আশঙ্কা করছেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে পশ্চিম তীরের গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক ও ধর্মীয় স্থানসমূহ ধীরে ধীরে বসতি সম্প্রসারণ ও ইহুদীকরণের আওতায় আনা হচ্ছে, যা দীর্ঘমেয়াদে অঞ্চলের সাংস্কৃতিক মানচিত্র বদলে দিতে পারে।

ট্যাগ

পশ্চিম তীরের প্রাচীন শহর সেবাস্তিয়াকে ইহুদীকরণের পথে ইসরায়েল: ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা

প্রকাশিত হয়েছে: ১২:১৪:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫

ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা সতর্ক করেছেন যে পশ্চিম তীরের প্রাচীন শহর সেবাস্তিয়ায় ইসরায়েলের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড “সংযুক্তি এবং ইহুদীকরণ” প্রক্রিয়ার অংশ, যা ওই অঞ্চলের প্রত্নতাত্ত্বিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ধ্বংসের পথে এগোচ্ছে।

সেবাস্তিয়ার মেয়র মোহাম্মদ আজেম তুরস্কের আনাদোলু এজেন্সিকে বলেন, “প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানে যা ঘটছে তা একটি বিপজ্জনক উন্নয়ন এবং স্পষ্টতই আগ্রাসন। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ সেখানে তথাকথিত ‘সামেরিয়া পার্ক’ বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেছে, যা আমাদের ঐতিহাসিক অধিকার ও সংস্কৃতির ওপর একটি আক্রমণ।”

তিনি আরও যোগ করেন, “ইসরায়েল যুদ্ধের সময়ে আন্তর্জাতিক দৃষ্টি অন্যত্র সরিয়ে রেখে সেবাস্তিয়ার নিয়ন্ত্রণ গ্রহণের পথে ধীরে ধীরে অগ্রসর হচ্ছে। তারা আমাদের সাংস্কৃতিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক ঐতিহ্যের উপর তাদের সার্বভৌমত্ব চাপিয়ে দিতে চায়।”

এ বিষয়ে ফিলিস্তিনি পর্যটন ও পুরাকীর্তি মন্ত্রণালয়ের পরিচালক দুরঘাম ফারেস বলেন, “এই প্রকল্প কোনো উন্নয়নমূলক কার্যক্রম নয়; বরং এটি একটি সুপরিকল্পিত সংযুক্তি ও ইহুদীকরণ প্রচেষ্টা।”

তিনি বলেন, “ইসরায়েল প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানটিকে একটি সামরিক ব্যারাক এবং বসতি পার্কে রূপান্তরিত করছে, যার মাধ্যমে এর আসল ঐতিহাসিক চরিত্রকে মুছে ফেলা হচ্ছে।”

সেবাস্তিয়া শহরটি ঐতিহাসিকভাবে রোমান, বাইজান্টাইন এবং ইসলামি সভ্যতার গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন বহন করে। এই এলাকা ফিলিস্তিনি জাতীয় পরিচয়ের অংশ হিসেবে বিবেচিত এবং বহু পর্যটক ও গবেষক এখানে প্রত্নতাত্ত্বিক আকর্ষণে আগ্রহী হন।

তবে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া এখনো জানানো হয়নি।

ফিলিস্তিনিরা আশঙ্কা করছেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে পশ্চিম তীরের গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক ও ধর্মীয় স্থানসমূহ ধীরে ধীরে বসতি সম্প্রসারণ ও ইহুদীকরণের আওতায় আনা হচ্ছে, যা দীর্ঘমেয়াদে অঞ্চলের সাংস্কৃতিক মানচিত্র বদলে দিতে পারে।