
ব্লুমবার্গ সূত্রে জানা গেছে, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে দ্বিতীয় দফা শান্তি আলোচনা আগামী সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হতে পারে। আলোচনা আয়োজনে তুরস্ককে সম্ভাব্য স্থান হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে, যেখানে ভ্যাটিকানের প্রস্তাব却 রাশিয়ার পক্ষ থেকে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।
রাশিয়ার মতে, ভ্যাটিকান এই ধরণের আলোচনার জন্য উপযুক্ত ও নিরপেক্ষ মঞ্চ নয়। পরিবর্তে, আঙ্কারা— পূর্বেও যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতাকারী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে— এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যা মস্কোর কাছে বিশ্বাসযোগ্য ও কৌশলগতভাবে গ্রহণযোগ্য।
প্রতিবেদন অনুসারে, এই আলোচনায় সহায়তার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ রক্ষা করছে এবং রাশিয়ার প্রতিও কিছু স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে। বিশেষ করে, তারা চায় না আলোচনায় রাশিয়ার পক্ষ থেকে ভ্লাদিমির মেডিনস্কি এবং অন্যান্য “কট্টরপন্থী” নেতারা অংশগ্রহণ করেন।
মেডিনস্কি ২০২২ সালের আলোচনাগুলোতেও রাশিয়ার প্রধান প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এবং অনেক পশ্চিমা বিশ্লেষক তাকে কঠোর অবস্থানের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করেন।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়ার পর বেশ কয়েকবার আলোচনা হলেও তা কোনও স্থায়ী শান্তির রূপরেখা দেয়নি। ২০২4 সালের মাঝামাঝি এসে উভয় পক্ষেই সংঘর্ষের ধরণ পরিবর্তন হয়েছে এবং পশ্চিমা সহযোগিতার নতুন হিসাব তৈরি হচ্ছে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান বরাবরই দ্বিপক্ষীয় শান্তি আলোচনার উদ্যোক্তা ও মধ্যস্থতাকারী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেছেন। এই নতুন সম্ভাব্য আলোচনাও সেই ধারার একটি অংশ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
যদিও আলোচনার স্থান, সময় ও অংশগ্রহণকারীরা এখনও চূড়ান্ত হয়নি, কিন্তু আলোচনার সম্ভাবনা আবারো আন্তর্জাতিক মহলে আশার সঞ্চার করেছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই আলোচনা রাজনৈতিক চাপ হ্রাস এবং মানবিক করিডোর স্থাপনের সম্ভাবনা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে, যদি উভয় পক্ষ প্রকৃত সদিচ্ছার সঙ্গে আলোচনায় বসে।