০৩:৩৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সামরিক শাসনের আশঙ্কা: অন্তর্বর্তী সরকারের জাতীয় ঐক্যের আহ্বান

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার সম্প্রতি রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সামরিক হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি সংলাপে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে, যাতে ২০০৭ সালের মতো সামরিক-সমর্থিত শাসনের পুনরাবৃত্তি রোধ করা যায়।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, “সংলাপ আয়োজনের দায়িত্ব সরকারের। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি সর্বদলীয় বৈঠকের আহ্বান জানাই।” তিনি আরও বলেন, “জাতীয় স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে এ বৈঠক থেকে আশাব্যঞ্জক কিছু আসবে বলে আমরা আশা করি।”

সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার জামান ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রতি কঠোর বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “দেশে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত।” তিনি আরও বলেন, “কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা বরদাশত করা হবে না।”

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা বলেছেন, “দেশ কোনো ধরনের রাজনৈতিক ঐক্যের পথে নেই।” তিনি আরও বলেন, “দেশটাকে স্থিতিশীল হতে না দেওয়ার জন্য অনেক শক্তি সক্রিয়।”

বাংলাদেশ বর্তমানে একটি সংকটময় সময় অতিক্রম করছে। অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপ ও ঐক্য গড়ে তোলার প্রচেষ্টা চলছে, তবে সেনাবাহিনীর অবস্থান ও রাজনৈতিক বিভাজন এই প্রচেষ্টাকে জটিল করে তুলছে। সামরিক শাসনের আশঙ্কা এড়াতে এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বজায় রাখতে সকল পক্ষের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা ও সহযোগিতা জরুরি।

ট্যাগ

সামরিক শাসনের আশঙ্কা: অন্তর্বর্তী সরকারের জাতীয় ঐক্যের আহ্বান

প্রকাশিত হয়েছে: ০৭:৪৪:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার সম্প্রতি রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সামরিক হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি সংলাপে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে, যাতে ২০০৭ সালের মতো সামরিক-সমর্থিত শাসনের পুনরাবৃত্তি রোধ করা যায়।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, “সংলাপ আয়োজনের দায়িত্ব সরকারের। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি সর্বদলীয় বৈঠকের আহ্বান জানাই।” তিনি আরও বলেন, “জাতীয় স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে এ বৈঠক থেকে আশাব্যঞ্জক কিছু আসবে বলে আমরা আশা করি।”

সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার জামান ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রতি কঠোর বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “দেশে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত।” তিনি আরও বলেন, “কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা বরদাশত করা হবে না।”

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা বলেছেন, “দেশ কোনো ধরনের রাজনৈতিক ঐক্যের পথে নেই।” তিনি আরও বলেন, “দেশটাকে স্থিতিশীল হতে না দেওয়ার জন্য অনেক শক্তি সক্রিয়।”

বাংলাদেশ বর্তমানে একটি সংকটময় সময় অতিক্রম করছে। অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপ ও ঐক্য গড়ে তোলার প্রচেষ্টা চলছে, তবে সেনাবাহিনীর অবস্থান ও রাজনৈতিক বিভাজন এই প্রচেষ্টাকে জটিল করে তুলছে। সামরিক শাসনের আশঙ্কা এড়াতে এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বজায় রাখতে সকল পক্ষের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা ও সহযোগিতা জরুরি।