
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নতুন করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মকাণ্ড নিয়ে খোলামেলা সমালোচনার জের ধরে তাকে এবার ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ (RAW)-এর এজেন্ট হিসেবে ট্রলের মুখে পড়তে হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে নিজেই বিস্ময় প্রকাশ করেছেন এই অভিনেত্রী।
এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে বাঁধন লিখেছেন, “আবারও ‘র’ এজেন্ট হয়ে গেলাম, কী দারুণ এক যাত্রা!” ব্যঙ্গাত্মক ভঙ্গিতে দেওয়া এই স্ট্যাটাসে তিনি জানান, ২০২১ সালে তিনি বিশাল ভরদ্বাজ পরিচালিত বলিউডের গোয়েন্দা থ্রিলার ‘খুফিয়া’ ছবিতে একজন ‘র’ এজেন্ট চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। ওই ছবিতে তার সহ-অভিনেত্রী ছিলেন বলিউডের তারকা টাবু।
স্ট্যাটাসে বাঁধন অভিযোগ করেন, ভারতীয় হাইকমিশন তার ভিসা পাঁচবার প্রত্যাখ্যান করে। তার মতে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের সঙ্গে তোলা একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করায় হাইকমিশন সন্দেহপ্রবণ হয়ে ওঠে। পরে পরিচিত কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তির সহায়তায় তিনি মাত্র এক মাসের একটি সিঙ্গেল-এন্ট্রি ভিসা পান।
অভিনেত্রী আরও দাবি করেন, বলিউড ও টালিউডে তার কয়েকটি ভালো কাজের সুযোগ ভিসা জটিলতার কারণে হাতছাড়া হয়। তিনি ইঙ্গিত দেন, একজন প্রভাবশালী অভিনেত্রী এই জটিলতার পেছনে ভূমিকা রেখেছেন, যদিও নাম প্রকাশ করেননি।
স্ট্যাটাসে তিনি ট্রলের নানা মাত্রার কথাও উল্লেখ করেন। বাঁধনের ভাষায়,
“জুলাই মাসের আন্দোলনের সময় আমাকে বলা হলো সিআইএ-র এজেন্ট। এরপর জামায়াতের এজেন্ট। আবার কেউ বলল, আমি মোসাদের হয়েও কাজ করি। আর গতকাল রাতে আবারও ‘র’ এজেন্ট হয়ে গেলাম!”
তিনি আরও জানান, সরকারঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তি তাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন—‘টাকা খাইছো নাকি?’ বাঁধন এর উত্তরে লেখেন, “যে ব্যক্তি দেশকে ভালোবাসে না, সে ভাবে আর কেউ দেশকে ভালোবাসতে পারে না।”
এই ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ কেউ বাঁধনের সাহসী অবস্থানকে সাধুবাদ জানিয়েছেন, আবার কেউ তার বক্তব্যকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মন্তব্য করেছেন।
আজমেরী হক বাঁধন এর আগেও বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক বিষয়ে সোচ্চার ভূমিকা রেখেছেন। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে তার সক্রিয় অবস্থান এবং আওয়াজ তুলেছিলেন সরকারবিরোধী নানা ইস্যুতেও। তবে সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে গুজব ও অপপ্রচারের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় বিষয়টি নিয়ে নতুন করে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।