১২:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

“রাশিয়ান বিজ্ঞানীদের ন্যানো প্রযুক্তি: ক্যান্সারকে হারানোর নতুন আশা!”

ক্যান্সার চিকিৎসায় এক নতুন দিগন্তের সূচনা করলেন রাশিয়ান বিজ্ঞানীরা। তারা উদ্ভাবন করেছেন এমন একধরনের ন্যানো পার্টিকেল, যা কেমোথেরাপি প্রতিরোধী আক্রমণাত্মক টিউমার ধ্বংসে সক্ষম। এই প্রযুক্তি চিকিৎসাবিজ্ঞানে এক যুগান্তকারী অগ্রগতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

এই ন্যানো পার্টিকেলগুলো শরীরের ইমিউন (রোগ প্রতিরোধ) কোষে সরাসরি প্রবেশ করে তাদের সক্রিয় করে তোলে, ফলে শরীর নিজে থেকেই টিউমার এবং মেটাস্টেসিস (ক্যান্সারের বিস্তার) প্রতিরোধে সক্ষম হয়। বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, এ উদ্ভাবন বিশেষত মেলানোমা (ত্বকের ক্যান্সার) ও কোলন ক্যান্সার চিকিৎসায় আশাব্যঞ্জক ফল দেবে।

গবেষণা দলের এক সদস্য বলেন,

“এই প্রযুক্তি নির্দিষ্টভাবে ক্যান্সার কোষকে টার্গেট করে। ফলে সুস্থ কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হয় না এবং প্রচলিত কেমোথেরাপির ভয়াবহ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পায়।”

এই উদ্ভাবন বর্তমানে ক্লিনিকাল ট্রায়ালের প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। প্রাথমিক পরীক্ষায় এটি নিরাপদ ও কার্যকর বলে প্রতীয়মান হয়েছে। গবেষকরা মনে করছেন, আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই এই প্রযুক্তি চিকিৎসা পদ্ধতির অংশ হয়ে উঠতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ন্যানো পার্টিকেল থেরাপি ভবিষ্যতের ব্যক্তিকেন্দ্রিক (personalized) ক্যান্সার চিকিৎসায় একটি নতুন অধ্যায় রচনা করবে। এতে রোগীর নিজস্ব প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে উৎসাহিত করে ক্যান্সার প্রতিরোধে দীর্ঘস্থায়ী সমাধান পাওয়া সম্ভব।

বর্তমানে ক্যান্সার বিশ্বের অন্যতম প্রাণঘাতী এবং ব্যয়বহুল রোগ। রাশিয়ান বিজ্ঞানীদের এই উদ্ভাবন একদিকে যেমন চিকিৎসা ব্যয় হ্রাসে সহায়ক হবে, অন্যদিকে তা রোগীর জীবনমান উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

বিশ্বজুড়ে চিকিৎসা মহলে এই উদ্ভাবনকে ক্যান্সার চিকিৎসার এক নতুন দিগন্ত হিসেবে দেখা হচ্ছে। এটি একটি ভবিষ্যতের বার্তা—যেখানে ক্যান্সার আর ‘অপরাজেয়’ থাকবে না।

এই গবেষণা চালিয়েছে রাশিয়ার Shemyakin-Ovchinnikov Institute of Bioorganic Chemistry ও Moscow Institute of Physics and Technology। গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক জার্নাল “Bioconjugate Chemistry”–তে।

ট্যাগ

শিক্ষা ভবনের সামনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

“রাশিয়ান বিজ্ঞানীদের ন্যানো প্রযুক্তি: ক্যান্সারকে হারানোর নতুন আশা!”

প্রকাশিত হয়েছে: ০৮:৩৯:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫

ক্যান্সার চিকিৎসায় এক নতুন দিগন্তের সূচনা করলেন রাশিয়ান বিজ্ঞানীরা। তারা উদ্ভাবন করেছেন এমন একধরনের ন্যানো পার্টিকেল, যা কেমোথেরাপি প্রতিরোধী আক্রমণাত্মক টিউমার ধ্বংসে সক্ষম। এই প্রযুক্তি চিকিৎসাবিজ্ঞানে এক যুগান্তকারী অগ্রগতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

এই ন্যানো পার্টিকেলগুলো শরীরের ইমিউন (রোগ প্রতিরোধ) কোষে সরাসরি প্রবেশ করে তাদের সক্রিয় করে তোলে, ফলে শরীর নিজে থেকেই টিউমার এবং মেটাস্টেসিস (ক্যান্সারের বিস্তার) প্রতিরোধে সক্ষম হয়। বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, এ উদ্ভাবন বিশেষত মেলানোমা (ত্বকের ক্যান্সার) ও কোলন ক্যান্সার চিকিৎসায় আশাব্যঞ্জক ফল দেবে।

গবেষণা দলের এক সদস্য বলেন,

“এই প্রযুক্তি নির্দিষ্টভাবে ক্যান্সার কোষকে টার্গেট করে। ফলে সুস্থ কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হয় না এবং প্রচলিত কেমোথেরাপির ভয়াবহ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পায়।”

এই উদ্ভাবন বর্তমানে ক্লিনিকাল ট্রায়ালের প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। প্রাথমিক পরীক্ষায় এটি নিরাপদ ও কার্যকর বলে প্রতীয়মান হয়েছে। গবেষকরা মনে করছেন, আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই এই প্রযুক্তি চিকিৎসা পদ্ধতির অংশ হয়ে উঠতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ন্যানো পার্টিকেল থেরাপি ভবিষ্যতের ব্যক্তিকেন্দ্রিক (personalized) ক্যান্সার চিকিৎসায় একটি নতুন অধ্যায় রচনা করবে। এতে রোগীর নিজস্ব প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে উৎসাহিত করে ক্যান্সার প্রতিরোধে দীর্ঘস্থায়ী সমাধান পাওয়া সম্ভব।

বর্তমানে ক্যান্সার বিশ্বের অন্যতম প্রাণঘাতী এবং ব্যয়বহুল রোগ। রাশিয়ান বিজ্ঞানীদের এই উদ্ভাবন একদিকে যেমন চিকিৎসা ব্যয় হ্রাসে সহায়ক হবে, অন্যদিকে তা রোগীর জীবনমান উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

বিশ্বজুড়ে চিকিৎসা মহলে এই উদ্ভাবনকে ক্যান্সার চিকিৎসার এক নতুন দিগন্ত হিসেবে দেখা হচ্ছে। এটি একটি ভবিষ্যতের বার্তা—যেখানে ক্যান্সার আর ‘অপরাজেয়’ থাকবে না।

এই গবেষণা চালিয়েছে রাশিয়ার Shemyakin-Ovchinnikov Institute of Bioorganic Chemistry ও Moscow Institute of Physics and Technology। গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক জার্নাল “Bioconjugate Chemistry”–তে।