ছোট ছোট শিশুদের মুখে হাসি, স্বপ্নে ভরা চোখ — এটাই ছিল গাজার সৌন্দর্য। কিন্তু সেই হাসিমুখগুলো একের পর এক নিভে যাচ্ছে আগ্রাসনের আগুনে। ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে যাচ্ছে একটি একটি করে ভবিষ্যৎ। প্রতিটি ক্ষণেই নিঃশেষ হচ্ছে সম্ভাবনার একেকটি তারা।
এই অন্ধকার সময়েও আলো হয়ে জ্বলে উঠেছে একটি নাম—ইয়াকিন হাম্মাদ।
এই কিশোরী ছিল গাজার প্রতিরোধী চেতনার প্রতীক। আগ্রাসনের মুখেও তার চোখে ছিল এক অদম্য ঝিলিক, এক অনড় বার্তা:
“আমরা শেষ হয়ে যাই না, আমরা ইতিহাস হয়ে যাই।”
ইয়াকিন এখন হয়তো শারীরিকভাবে আমাদের মাঝে নেই, কিন্তু তার স্বপ্ন, সাহস এবং চোখের ভাষা বেঁচে থাকবে প্রতিটি মানবিক হৃদয়ে।
বিশ্ব যেখানে নীরব, সেখানে গাজার শিশুরাই যেন হয়ে উঠেছে মানবতার শেষ আশ্রয়। প্রতিদিন তারা হারাচ্ছে ঘর, পরিবার, বন্ধু—তবুও তারা হার মানছে না।
গাজার স্বপ্ন হয়তো এখন ধুলোর মধ্যে, কিন্তু ইয়াকিন হাম্মাদের মত সাহসীরা সে স্বপ্নকে ইতিহাসে বাঁচিয়ে রাখবে।
একটি সত্য বার্তা গাজা আমাদের দিয়ে যাচ্ছে:
যুদ্ধ হয়তো জীবনের ইতি টানতে পারে, কিন্তু প্রতিরোধ জন্ম দেয় ইতিহাসের।
প্রকাশক ও সম্পাদক
© কপিরাইট সমাচার বিশ্ব ২০২৫ | আমাদের ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।