
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতে ইসলামীর নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এবং আপিল বিভাগের পূর্ববর্তী মৃত্যুদণ্ডের রায় বাতিল করে সর্বোচ্চ আদালত এই রায় প্রদান করেন।
মঙ্গলবার সকাল ৯টা ৫২ মিনিটে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে গঠিত ৭ বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পর জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায়ে সিজদায় লুটিয়ে পড়েন। পরবর্তীতে তারা সুপ্রিম কোর্টের এনেক্স ভবনের সামনে দুই রাকাত শোকরানা নামাজ আদায় করেন।
নামাজ শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে জামায়াত নেতাকর্মীরা তাদের অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, “মজলুম জননেতা এটিএম আজাহারুল ইসলামের রায়ের জন্য আমাদের অনেক ভাই ও বোনেরা রোজা রেখেছেন। তারা আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করছেন।”
আদালতে আজহারুল ইসলামের পক্ষে আইনজীবী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদ শিশির মনির, ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিক, ব্যারিস্টার ইমরান আবদুল্লাহ সিদ্দিক এবং ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন।
এ সময় আদালতে জামায়াতে ইসলামীর বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন দলের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের, ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাসুম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জোবায়ের, অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল, নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসেন, মাওলানা আব্দুল হালিম, অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান, জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির সেলিম উদ্দিন, প্রয়াত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর পুত্র মাসুদ সাঈদী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নায়েবে আমির ড. হেলাল উদ্দিন এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।
এই রায়ের মাধ্যমে এটিএম আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে আনীত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ থেকে তিনি অব্যাহতি পেলেন।