০৭:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে সচিবালয় অচল

 “সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫” বাতিলের দাবিতে আজ উত্তাল হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ সচিবালয় এলাকা। শত শত সরকারি কর্মচারী সচিবালয়ের প্রধান ফটকগুলো বন্ধ করে দিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন। তাঁরা ঘোষণা দিয়েছেন, বিতর্কিত এই অধ্যাদেশ প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত তাঁদের এই কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে।

সকাল থেকেই বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা সচিবালয়ের সামনে জড়ো হতে শুরু করেন। বেলা বাড়ার সাথে সাথে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা বাড়তে থাকে এবং এক পর্যায়ে তাঁরা সচিবালয়ের প্রবেশ ও বাহির হওয়ার সব গেট বন্ধ করে দেন। এর ফলে সচিবালয়ে স্বাভাবিক কাজকর্ম কার্যত বন্ধ হয়ে পড়েছে এবং বিভিন্ন সরকারি সেবা গ্রহণে আসা সাধারণ মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

বিক্ষোভরত কর্মচারীদের অভিযোগ, প্রস্তাবিত এই অধ্যাদেশ তাঁদের চাকরি সুরক্ষার পরিপন্থী এবং এতে তাঁদের দীর্ঘদিনের অর্জিত সুযোগ-সুবিধা খর্ব করার অপচেষ্টা করা হয়েছে। আন্দোলনকারী একজন কর্মচারী জানান, “এই অধ্যাদেশ আমাদের অধিকার কেড়ে নেওয়ার সামিল। আমরা সরকারের কাছে অবিলম্বে এটি বাতিলের জোর দাবি জানাচ্ছি। দাবি না মানা পর্যন্ত আমরা আমাদের কর্মবিরতি চালিয়ে যাব।”

কর্মচারী সংগঠনের নেতারা জানিয়েছেন, তাঁরা ইতিমধ্যে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন, কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো ইতিবাচক সাড়া মেলেনি। তাঁরা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যদি দ্রুত এই অধ্যাদেশ প্রত্যাহার করা না হয়, তাহলে তাঁরা আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবেন।

এই বিক্ষোভ ও কর্মবিরতির ফলে সচিবালয়কেন্দ্রিক প্রশাসনিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। জরুরি ফাইল চালাচালি এবং গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়াও ব্যাহত হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সচিবালয় এলাকায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন।

সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিরসনে শিগগিরই আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া হতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্রে আভাস পাওয়া যাচ্ছে। সাধারণ মানুষ আশা করছেন, দ্রুত এই অচলাবস্থার অবসান ঘটবে এবং সরকারি কার্যক্রম স্বাভাবিক হবে।

ট্যাগ

সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে সচিবালয় অচল

প্রকাশিত হয়েছে: ০৬:৪৭:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫

 “সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫” বাতিলের দাবিতে আজ উত্তাল হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ সচিবালয় এলাকা। শত শত সরকারি কর্মচারী সচিবালয়ের প্রধান ফটকগুলো বন্ধ করে দিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন। তাঁরা ঘোষণা দিয়েছেন, বিতর্কিত এই অধ্যাদেশ প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত তাঁদের এই কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে।

সকাল থেকেই বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা সচিবালয়ের সামনে জড়ো হতে শুরু করেন। বেলা বাড়ার সাথে সাথে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা বাড়তে থাকে এবং এক পর্যায়ে তাঁরা সচিবালয়ের প্রবেশ ও বাহির হওয়ার সব গেট বন্ধ করে দেন। এর ফলে সচিবালয়ে স্বাভাবিক কাজকর্ম কার্যত বন্ধ হয়ে পড়েছে এবং বিভিন্ন সরকারি সেবা গ্রহণে আসা সাধারণ মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

বিক্ষোভরত কর্মচারীদের অভিযোগ, প্রস্তাবিত এই অধ্যাদেশ তাঁদের চাকরি সুরক্ষার পরিপন্থী এবং এতে তাঁদের দীর্ঘদিনের অর্জিত সুযোগ-সুবিধা খর্ব করার অপচেষ্টা করা হয়েছে। আন্দোলনকারী একজন কর্মচারী জানান, “এই অধ্যাদেশ আমাদের অধিকার কেড়ে নেওয়ার সামিল। আমরা সরকারের কাছে অবিলম্বে এটি বাতিলের জোর দাবি জানাচ্ছি। দাবি না মানা পর্যন্ত আমরা আমাদের কর্মবিরতি চালিয়ে যাব।”

কর্মচারী সংগঠনের নেতারা জানিয়েছেন, তাঁরা ইতিমধ্যে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন, কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো ইতিবাচক সাড়া মেলেনি। তাঁরা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যদি দ্রুত এই অধ্যাদেশ প্রত্যাহার করা না হয়, তাহলে তাঁরা আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবেন।

এই বিক্ষোভ ও কর্মবিরতির ফলে সচিবালয়কেন্দ্রিক প্রশাসনিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। জরুরি ফাইল চালাচালি এবং গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়াও ব্যাহত হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সচিবালয় এলাকায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন।

সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিরসনে শিগগিরই আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া হতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্রে আভাস পাওয়া যাচ্ছে। সাধারণ মানুষ আশা করছেন, দ্রুত এই অচলাবস্থার অবসান ঘটবে এবং সরকারি কার্যক্রম স্বাভাবিক হবে।