০৩:৩৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তারেক ও জুবাইদা রহমান দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টে খালাস

দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা এ মামলার শুনানি শেষে বুধবার (২৮ মে) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের একক বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।

এ রায়ের ফলে সব মামলা থেকে খালাস পেলেন তারেক রহমান—এমনটাই জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা।

২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় তারেক রহমান, তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান এবং তার শাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দীর্ঘ তদন্ত ও বিচারিক কার্যক্রম শেষে ২০২৩ সালের ২ আগস্ট ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের তৎকালীন বিচারক মো. আছাদুজ্জামান রায় দেন।

রায়ে, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪-এর ২৬(২) ধারায় তারেক রহমানকে তিন বছর এবং ২৭(১) ধারায় ছয় বছরের কারাদণ্ডসহ তিন কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। অপরদিকে, ডা. জুবাইদা রহমানকে ২৭(১) ধারায় তিন বছরের কারাদণ্ড ও ৩৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

সাজার বিরুদ্ধে আপিল করতে বিলম্ব হওয়ায়, ২০২৪ সালের ১৩ মে হাইকোর্ট ৫৮৭ দিনের বিলম্ব মার্জনা করে ডা. জুবাইদা রহমানের আপিল গ্রহণযোগ্য করেন। পরদিন ১৪ মে তাকে জামিন দেন আদালত। এরপর ২৬ মে তার আপিলের শুনানি শেষ হয়।

যদিও তারেক রহমান আলাদাভাবে আপিল করেননি, তবে জুবাইদা রহমানের আপিলের সঙ্গেই তার খালাস চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল, যা আদালত মঞ্জুর করেন।

ডা. জুবাইদা রহমানের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ও অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন ভূঞা। তাদের সহযোগিতায় ছিলেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, ব্যারিস্টার শেখ মুহাম্মদ জাকির হোসেন, অ্যাডভোকেট মাকসুদ উল্লাহ, অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান রায়হান বিশ্বাস, অ্যাডভোকেট আজমল হোসেন খোকন ও অ্যাডভোকেট এস এম মাহিদুল ইসলাম সজিব। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আসিফ হাসান।

২০২৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর সরকারের পক্ষ থেকে জুবাইদা রহমানের সাজা এক বছরের জন্য স্থগিত করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়, যা বাংলাদেশ গেজেটে প্রকাশিত হয় ১০ অক্টোবর। এরপর চলতি বছরের ৬ মে তিনি দেশে ফেরেন এবং আপিল প্রক্রিয়া শুরু করেন।

হাইকোর্টের এই রায় বিএনপির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ আইনি বিজয় হিসেবে দেখা হচ্ছে। দীর্ঘ প্রায় ১৭ বছর ধরে চলা মামলার অবসান ও খালাসের মাধ্যমে তারেক রহমান ও জুবাইদা রহমান এখন সম্পূর্ণভাবে মুক্ত বলে জানিয়েছেন তাদের আইনজীবীরা।

 

ট্যাগ

তারেক ও জুবাইদা রহমান দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টে খালাস

প্রকাশিত হয়েছে: ১০:১৯:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫

দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা এ মামলার শুনানি শেষে বুধবার (২৮ মে) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের একক বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।

এ রায়ের ফলে সব মামলা থেকে খালাস পেলেন তারেক রহমান—এমনটাই জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা।

২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় তারেক রহমান, তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান এবং তার শাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দীর্ঘ তদন্ত ও বিচারিক কার্যক্রম শেষে ২০২৩ সালের ২ আগস্ট ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের তৎকালীন বিচারক মো. আছাদুজ্জামান রায় দেন।

রায়ে, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪-এর ২৬(২) ধারায় তারেক রহমানকে তিন বছর এবং ২৭(১) ধারায় ছয় বছরের কারাদণ্ডসহ তিন কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। অপরদিকে, ডা. জুবাইদা রহমানকে ২৭(১) ধারায় তিন বছরের কারাদণ্ড ও ৩৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

সাজার বিরুদ্ধে আপিল করতে বিলম্ব হওয়ায়, ২০২৪ সালের ১৩ মে হাইকোর্ট ৫৮৭ দিনের বিলম্ব মার্জনা করে ডা. জুবাইদা রহমানের আপিল গ্রহণযোগ্য করেন। পরদিন ১৪ মে তাকে জামিন দেন আদালত। এরপর ২৬ মে তার আপিলের শুনানি শেষ হয়।

যদিও তারেক রহমান আলাদাভাবে আপিল করেননি, তবে জুবাইদা রহমানের আপিলের সঙ্গেই তার খালাস চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল, যা আদালত মঞ্জুর করেন।

ডা. জুবাইদা রহমানের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ও অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন ভূঞা। তাদের সহযোগিতায় ছিলেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, ব্যারিস্টার শেখ মুহাম্মদ জাকির হোসেন, অ্যাডভোকেট মাকসুদ উল্লাহ, অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান রায়হান বিশ্বাস, অ্যাডভোকেট আজমল হোসেন খোকন ও অ্যাডভোকেট এস এম মাহিদুল ইসলাম সজিব। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আসিফ হাসান।

২০২৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর সরকারের পক্ষ থেকে জুবাইদা রহমানের সাজা এক বছরের জন্য স্থগিত করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়, যা বাংলাদেশ গেজেটে প্রকাশিত হয় ১০ অক্টোবর। এরপর চলতি বছরের ৬ মে তিনি দেশে ফেরেন এবং আপিল প্রক্রিয়া শুরু করেন।

হাইকোর্টের এই রায় বিএনপির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ আইনি বিজয় হিসেবে দেখা হচ্ছে। দীর্ঘ প্রায় ১৭ বছর ধরে চলা মামলার অবসান ও খালাসের মাধ্যমে তারেক রহমান ও জুবাইদা রহমান এখন সম্পূর্ণভাবে মুক্ত বলে জানিয়েছেন তাদের আইনজীবীরা।