লালমনিরহাটে বহুল আলোচিত ৬ শিক্ষার্থীকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনার প্রায় ১০ মাস পর অবশেষে একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ মে) সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন নিহতদের এক সহযোদ্ধা, শিক্ষার্থী আরমান আরিফ।
মামলায় জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন খান সুমন ওরফে ‘হুন্ডি সুমন’-সহ মোট ৩৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ৩০-৩৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
নিহত শিক্ষার্থীরা হলেন—জোবায়ের হোসেন, আল শাহরিয়ার রিয়াদ তন্ময়, শাহরিয়ার আল আফরোজ শ্রাবণ, জনি মিয়া, রাধিক হোসেন রুশো এবং রাজিব উল করিম সরকার।
এদের সবাই গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সক্রিয় অংশ নিয়েছিলেন।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, আওয়ামী লীগ নেতা সুমন খানের লালমনিরহাট শহরের বহুতল ভবনে ওই ছয় শিক্ষার্থীকে আটকে রাখা হয়। পরে তাদের হত্যা করতে ভবনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তারা দগ্ধ হয়ে মারা যান।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুন্নবী বলেন, "মামলাটি আমরা গ্রহণ করেছি। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগের ৯ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।"
উল্লেখ্য, মামলার প্রধান আসামি সুমন খান অর্থপাচারসহ একাধিক মামলায় আগেই গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে লালমনিরহাটে ব্যাপক জনমনে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। দীর্ঘদিন পর হলেও মামলার প্রক্রিয়া শুরু হওয়াকে নিহতদের পরিবার ও সহযোদ্ধারা ন্যায়বিচারের পথে প্রথম ধাপ হিসেবে দেখছেন।
মানবাধিকার সংস্থাগুলোও ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ও দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে।
প্রকাশক ও সম্পাদক
© কপিরাইট সমাচার বিশ্ব ২০২৫ | আমাদের ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।