
কাজাখস্তানে কনে অপহরণ এবং জোরপূর্বক বিয়ের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে দেশটির সরকার। সম্প্রতি সংসদের নিম্নকক্ষে গৃহীত এক নতুন আইনে এসব অপরাধের জন্য ফৌজদারি শাস্তি নির্ধারণ করা হয়েছে।
এই আইনের আওতায়, যদি কেউ কোনো নারীকে বিয়ে করতে জোর করেন বা অপহরণ করেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শাস্তির ধরন হিসেবে থাকছে জরিমানা, সংশোধনমূলক শ্রম অথবা দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড।
নতুন আইনটি মূলত নারী অধিকার সংরক্ষণ এবং সামাজিক নিরাপত্তা জোরদারের অংশ হিসেবে পাস করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই কাজাখস্তানের কিছু এলাকায় ‘কনে অপহরণ’ এক ধরনের সামাজিক রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছিল, যা নারীর সম্মান, স্বাধীনতা এবং অধিকারকে লঙ্ঘন করছিল।
আইন পাসের সময় সংসদের একাধিক সদস্য জোর দিয়ে বলেন, “কোনো নারীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে বিয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।”
বিশ্লেষকদের মতে, এই নতুন আইন কাজাখস্তানে নারী সুরক্ষা ও সামাজিক জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
তবে সামাজিক রক্ষণশীলতা ও স্থানীয় কিছু প্রথার কারণে আইন বাস্তবায়নের পথে কিছু চ্যালেঞ্জ থাকলেও, সরকারের অবস্থান এবার বেশ কঠোর বলেই মনে করছেন অধিকাংশ মানবাধিকারকর্মী।
এর আগে মধ্য এশিয়ার আরও কয়েকটি দেশেও কনে অপহরণের বিরুদ্ধে আইন পাস করা হলেও, বাস্তব প্রয়োগ অনেক সময়েই প্রশ্নের মুখে পড়েছে। কাজাখস্তানের নতুন আইন কতটা কার্যকর হয়, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
-
আইনটি সংসদের নিম্নকক্ষে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে।
-
আইন ভাঙলে জরিমানার পাশাপাশি কারাদণ্ডের ব্যবস্থাও থাকছে।
-
সামাজিক সচেতনতা বাড়াতে সরকারের তরফ থেকে প্রচারও চালানো হবে।