০৭:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তারেকের কণ্ঠে ফের তড়িঘড়ি নির্বাচনের ডাক—চাপের মুখে সরকার?

  • নাতাশা মুন্নি
  • প্রকাশিত হয়েছে: ১১:৩১:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫
  • ১০৫ শেয়ার

অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই জাতীয় নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে জোরালো বিতর্ক। সেই বিতর্কে নতুন মাত্রা যোগ করলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি সরাসরি ঘোষণা দিয়েছেন, “ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন হতে হবে, ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির আয়োজিততারুণ্যের সমাবেশেভিডিও বার্তার মাধ্যমে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তারেক রহমান বলেন, “নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা আর চলতে পারে না। জনগণ আর অপেক্ষা করতে রাজি নয়।

বিএনপির এই জোরালো অবস্থানকে ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে দেখা দিয়েছে নানা প্রতিক্রিয়া। বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল বলছে, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার নয় মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত কোনো দৃশ্যমান সংস্কার কার্যক্রম চোখে পড়েনি। বরং রাজনৈতিক বিভাজন সামাজিক অস্থিরতা বেড়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে বিএনপিরদ্রুত নির্বাচনেরদাবি কিছু দল যৌক্তিক বলে মনে করছে। তাদের মতে, সরকার সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েও কোনো রূপরেখা প্রকাশ করেনি, যা অনিশ্চয়তা বাড়াচ্ছে।

তবে একাধিক দল আবার ভিন্ন মতও প্রকাশ করেছে। নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপির এই কঠোর অবস্থানকে অনেকে দেখছেন সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগের কৌশল হিসেবে। এনসিপি কয়েকটি ইসলামপন্থি দল বলছে, নির্বাচনের আগে বিচারব্যবস্থার সংস্কার এবং প্রশাসনিক নিরপেক্ষতা নিশ্চিত না হলে নির্বাচন অর্থহীন হয়ে পড়বে।

তারা বলছে, শুধুমাত্র সময়ের মধ্যে নির্বাচন নয়, বরং তার আগে প্রয়োজনসংবিধানসম্মত ন্যায়বিচার এবং নির্বাচন কমিশনের কাঠামোগত সংস্কার

অন্যদিকে রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং কিছু রাজনৈতিক দল মনে করছে, ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। বরং বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় ২০২৬ সালের শুরুতেই একটি পূর্ণাঙ্গ জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন হতে পারে বলে তারা মত দিয়েছে।

বিএনপির নির্বাচনী সময়সীমা নির্ধারণ এবং তারেক রহমানের সরাসরি ঘোষণা নিঃসন্দেহে রাজনৈতিক মাঠকে আরও উত্তপ্ত করেছে। সরকার কী পদক্ষেপ নেয়, কিংবা অন্তর্বর্তী প্রশাসন কী বার্তা দেয়, তা এখন দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের দিক নির্দেশ করবে।

ট্যাগ

তারেকের কণ্ঠে ফের তড়িঘড়ি নির্বাচনের ডাক—চাপের মুখে সরকার?

প্রকাশিত হয়েছে: ১১:৩১:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫

অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই জাতীয় নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে জোরালো বিতর্ক। সেই বিতর্কে নতুন মাত্রা যোগ করলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি সরাসরি ঘোষণা দিয়েছেন, “ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন হতে হবে, ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির আয়োজিততারুণ্যের সমাবেশেভিডিও বার্তার মাধ্যমে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তারেক রহমান বলেন, “নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা আর চলতে পারে না। জনগণ আর অপেক্ষা করতে রাজি নয়।

বিএনপির এই জোরালো অবস্থানকে ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে দেখা দিয়েছে নানা প্রতিক্রিয়া। বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল বলছে, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার নয় মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত কোনো দৃশ্যমান সংস্কার কার্যক্রম চোখে পড়েনি। বরং রাজনৈতিক বিভাজন সামাজিক অস্থিরতা বেড়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে বিএনপিরদ্রুত নির্বাচনেরদাবি কিছু দল যৌক্তিক বলে মনে করছে। তাদের মতে, সরকার সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েও কোনো রূপরেখা প্রকাশ করেনি, যা অনিশ্চয়তা বাড়াচ্ছে।

তবে একাধিক দল আবার ভিন্ন মতও প্রকাশ করেছে। নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপির এই কঠোর অবস্থানকে অনেকে দেখছেন সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগের কৌশল হিসেবে। এনসিপি কয়েকটি ইসলামপন্থি দল বলছে, নির্বাচনের আগে বিচারব্যবস্থার সংস্কার এবং প্রশাসনিক নিরপেক্ষতা নিশ্চিত না হলে নির্বাচন অর্থহীন হয়ে পড়বে।

তারা বলছে, শুধুমাত্র সময়ের মধ্যে নির্বাচন নয়, বরং তার আগে প্রয়োজনসংবিধানসম্মত ন্যায়বিচার এবং নির্বাচন কমিশনের কাঠামোগত সংস্কার

অন্যদিকে রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং কিছু রাজনৈতিক দল মনে করছে, ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। বরং বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় ২০২৬ সালের শুরুতেই একটি পূর্ণাঙ্গ জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন হতে পারে বলে তারা মত দিয়েছে।

বিএনপির নির্বাচনী সময়সীমা নির্ধারণ এবং তারেক রহমানের সরাসরি ঘোষণা নিঃসন্দেহে রাজনৈতিক মাঠকে আরও উত্তপ্ত করেছে। সরকার কী পদক্ষেপ নেয়, কিংবা অন্তর্বর্তী প্রশাসন কী বার্তা দেয়, তা এখন দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের দিক নির্দেশ করবে।