
গাজার রাফাহ শহরে নতুন একটি বিতর্কিত ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্র ঘিরে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল-সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ)-এর এই বিতরণ কেন্দ্রে হাজার হাজার ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনি ভিড় জমায়।
ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, লোকজন কাঁটাতারের বেড়া ও মাটির বাঁধ পেরিয়ে কম্পাউন্ডে ঢুকে পড়ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ইসরায়েলি বাহিনী ফাঁকা গুলি চালায়।
জিএইচএফ জানিয়েছে, মানুষের চাপ এতটাই বেড়ে যায় যে নিরাপত্তা রক্ষীদের পিছু হটতে বাধ্য হতে হয়। তারা জানায়, স্থানীয় এনজিওদের সহায়তায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৮ হাজার খাবার প্যাকেট বিতরণ করা হয়েছে, যা প্রায় ৪ লাখ ৬২ হাজার মানুষের জন্য যথেষ্ট।
জাতিসংঘ এই ত্রাণ কার্যক্রমকে ঘিরে প্রকাশিত ভিডিওগুলোকে “হৃদয়বিদারক” বলে মন্তব্য করেছে। সংস্থাটি বলেছে, এই ত্রাণ উদ্যোগ আন্তর্জাতিক মানবিক নীতিমালা লঙ্ঘন করছে এবং তা দুর্বল ও অসহায়দের আরও পিছিয়ে দিচ্ছে।
জাতিসংঘ, রেডক্রস ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা জিএইচএফ-এর এই কার্যক্রমে অংশ নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তারা বলছে, ত্রাণকে রাজনৈতিক ও সামরিক কৌশল হিসেবে ব্যবহার করা অনৈতিক।
অন্যদিকে, ইসরায়েল বলছে—এই বিকল্প ব্যবস্থার মাধ্যমে তারা নিশ্চিত করতে চায় যাতে হামাস ত্রাণ চুরি করতে না পারে। তবে হামাস এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
এক প্রত্যক্ষদর্শী বিবিসিকে জানান, “মানুষ প্রচণ্ড ক্ষুধার্ত। একটি রুটির জন্য জীবন ঝুঁকিতে ফেলছে। বিশৃঙ্খলার মাঝে গুলির শব্দে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।”
গাজার মিডিয়া অফিস বলছে, ইসরায়েলি বিতরণ উদ্যোগ ব্যর্থ হয়েছে। জিএইচএফ বলছে, সপ্তাহের শেষ নাগাদ তারা ১০ লাখ মানুষকে ত্রাণ দিতে চায় এবং আরও কেন্দ্র চালু করবে। এদিকে, জাতিসংঘ জানিয়েছে, গাজায় বাস্তব চাহিদার তুলনায় এখনো পাঠানো ত্রাণ “সাগরে এক ফোঁটা” মাত্র।