০৩:২৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

“৩০ মে: সেই রক্তাক্ত রাত ও হারানো এক রাষ্ট্রনায়ক”

আজ, ৩০ মে ২০২৫, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার এবং বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে তিনি জাতির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় এক নাম।

১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়ার গাবতলীতে জন্মগ্রহণ করেন জিয়াউর রহমান। ১৯৫৩ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়ে তিনি তার সামরিক জীবনের সূচনা করেন। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে তিনি জাতিকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান। মুক্তিযুদ্ধে জেড ফোর্সের কমান্ডার হিসেবে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য তিনি ‘বীর উত্তম’ খেতাবে ভূষিত হন ।

রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য ১৯ দফা কর্মসূচি গ্রহণ করেন। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ খাদ্য ঘাটতির দেশ থেকে খাদ্য রপ্তানিকারক দেশে পরিণত হয় ।

১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে একদল বিপথগামী সেনাসদস্যের হাতে শহীদ হন জিয়াউর রহমান। তার শাহাদাতে জাতি অভিভাবকহীন হয়ে পড়ে। লাখো মানুষ শেরেবাংলা নগরে তার জানাজায় অংশগ্রহণ করে, যা তার জনপ্রিয়তার প্রতিফলন।

বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনসমূহ আজ দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে:

  • নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে পতাকা অর্ধনমিত ও কালো পতাকা উত্তোলন
  • শেরেবাংলা নগরে মাজারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও দোয়া মাহফিল
  • সারাদেশে দুঃস্থদের মাঝে খাদ্য ও বস্ত্র বিতরণ
  • আলোচনা সভা ও স্মরণানুষ্ঠান

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেন, “এই দিনে শুধু আমাদের পরিবার নয়, বরং সমগ্র দেশের মানুষ হয়ে পড়েছিল বেদনার্ত ও অভিভাবকহীন। আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা এক অবিচ্ছেদ্য নাম শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান” ।

শহীদ জিয়াউর রহমানের নেতৃত্ব, সততা ও দেশপ্রেম আজও জাতিকে প্রেরণা জোগায়। তার আদর্শ ও কর্মসূচি বাংলাদেশের গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও উন্নয়নের পথপ্রদর্শক হিসেবে বিবেচিত। আজকের এই দিনে জাতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় স্মরণ করছে এই মহান নেতাকে, যিনি দেশের স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও উন্নয়নে অবিস্মরণীয় অবদান রেখেছেন।

 

ট্যাগ

“৩০ মে: সেই রক্তাক্ত রাত ও হারানো এক রাষ্ট্রনায়ক”

প্রকাশিত হয়েছে: ০৭:৫৭:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫

আজ, ৩০ মে ২০২৫, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার এবং বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে তিনি জাতির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় এক নাম।

১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়ার গাবতলীতে জন্মগ্রহণ করেন জিয়াউর রহমান। ১৯৫৩ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়ে তিনি তার সামরিক জীবনের সূচনা করেন। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে তিনি জাতিকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান। মুক্তিযুদ্ধে জেড ফোর্সের কমান্ডার হিসেবে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য তিনি ‘বীর উত্তম’ খেতাবে ভূষিত হন ।

রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য ১৯ দফা কর্মসূচি গ্রহণ করেন। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ খাদ্য ঘাটতির দেশ থেকে খাদ্য রপ্তানিকারক দেশে পরিণত হয় ।

১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে একদল বিপথগামী সেনাসদস্যের হাতে শহীদ হন জিয়াউর রহমান। তার শাহাদাতে জাতি অভিভাবকহীন হয়ে পড়ে। লাখো মানুষ শেরেবাংলা নগরে তার জানাজায় অংশগ্রহণ করে, যা তার জনপ্রিয়তার প্রতিফলন।

বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনসমূহ আজ দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে:

  • নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে পতাকা অর্ধনমিত ও কালো পতাকা উত্তোলন
  • শেরেবাংলা নগরে মাজারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও দোয়া মাহফিল
  • সারাদেশে দুঃস্থদের মাঝে খাদ্য ও বস্ত্র বিতরণ
  • আলোচনা সভা ও স্মরণানুষ্ঠান

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেন, “এই দিনে শুধু আমাদের পরিবার নয়, বরং সমগ্র দেশের মানুষ হয়ে পড়েছিল বেদনার্ত ও অভিভাবকহীন। আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা এক অবিচ্ছেদ্য নাম শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান” ।

শহীদ জিয়াউর রহমানের নেতৃত্ব, সততা ও দেশপ্রেম আজও জাতিকে প্রেরণা জোগায়। তার আদর্শ ও কর্মসূচি বাংলাদেশের গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও উন্নয়নের পথপ্রদর্শক হিসেবে বিবেচিত। আজকের এই দিনে জাতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় স্মরণ করছে এই মহান নেতাকে, যিনি দেশের স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও উন্নয়নে অবিস্মরণীয় অবদান রেখেছেন।