০৩:৫৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শাহজাহানপুরে কোরবানির হাট বসেছে, ক্রেতা নেই!

আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে রাজধানীর শাহজাহানপুর খিলগাঁও রেলগেট বাজারসংলগ্ন মৈত্রী সংঘ ক্লাবের পাশে বসেছে কোরবানির পশুর অস্থায়ী হাট। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতায় পরিচালিত এই হাটের ইজারা পেয়েছেসিকদার কনস্ট্রাকশন হাটের ইজারা মূল্য ধরা হয়েছে কোটি ৭৪ লাখ ৭২ হাজার ৩৩৪ টাকা।

হাট ঘুরে দেখা গেছে, খিলগাঁও, বাসাবো, শান্তিনগর, শহীদবাগ শান্তিবাগসহ আশপাশের এলাকার কোরবানির পশুর চাহিদা মেটাতেই এই হাট বসানো হয়েছে। ঈদকে কেন্দ্র করে মাঠের একতৃতীয়াংশ ইতোমধ্যে গরুতে পূর্ণ হলেও বাকি অংশ এখনো ফাঁকা। আশপাশের ভবন কলোনির পাশে খালি জায়গাগুলোতেও পশু রাখার প্রস্তুতি থাকলেও সেগুলো অনেকটাই জনশূন্য।

হাটের প্রবেশমুখে ইজারাদার প্রতিষ্ঠানের তদারকি কক্ষ পশু নামানোর জন্য দুটি পার্কিং ্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। বিকেলের দিকে ট্রাক থেকে গরু নামানোর দৃশ্য ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে জমে ওঠেনি বিক্রি।

পাবনার খামারি হাটে এনেছে ২০টি গরু। প্রতিষ্ঠানটির এক কর্মী জানান, “গত পরশুদিন এসেছি, এখনো কোনো গরু বিক্রি হয়নি। অনেকে দাম বলছে, কিন্তু কেনার আগ্রহ কম।

এছাড়া যশোর থেকে যৌথভাবে ২৫ টি গরু এনেছেন বিক্রেতা। তাঁদের একজন শরিফুল ইসলাম বলেন, “আমাদের গরুগুলোর দাম লাখ থেকে লাখ ২০ হাজার টাকার মধ্যে। সময় আছে, আশা করছি সব বিক্রি হয়ে যাবে।আমার সবচেয়ে ছোট গরুটির গোশতের ওজন হবে প্রায় ১০০ কেজি, দাম চাচ্ছি লাখ টাকা। বড় গরুগুলোর দাম দুই লাখ থেকে দের লাখ পর্যন্ত। এখনো কিছু বিক্রি হয়নি।

বর্তমানে হাটের প্রধান দর্শনার্থী আশপাশের বাসিন্দারা। তারা আসছেন গরু দেখতে, দরদাম করতে, তবে এখনো অনেকেই কেনাকাটায় গড়াচ্ছেন না।

হাট সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, ঈদের তারিখ যত ঘনিয়ে আসবে, ততই জমে উঠবে বেচাকেনা।

ট্যাগ

শাহজাহানপুরে কোরবানির হাট বসেছে, ক্রেতা নেই!

প্রকাশিত হয়েছে: ০৭:১৮:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫

আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে রাজধানীর শাহজাহানপুর খিলগাঁও রেলগেট বাজারসংলগ্ন মৈত্রী সংঘ ক্লাবের পাশে বসেছে কোরবানির পশুর অস্থায়ী হাট। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতায় পরিচালিত এই হাটের ইজারা পেয়েছেসিকদার কনস্ট্রাকশন হাটের ইজারা মূল্য ধরা হয়েছে কোটি ৭৪ লাখ ৭২ হাজার ৩৩৪ টাকা।

হাট ঘুরে দেখা গেছে, খিলগাঁও, বাসাবো, শান্তিনগর, শহীদবাগ শান্তিবাগসহ আশপাশের এলাকার কোরবানির পশুর চাহিদা মেটাতেই এই হাট বসানো হয়েছে। ঈদকে কেন্দ্র করে মাঠের একতৃতীয়াংশ ইতোমধ্যে গরুতে পূর্ণ হলেও বাকি অংশ এখনো ফাঁকা। আশপাশের ভবন কলোনির পাশে খালি জায়গাগুলোতেও পশু রাখার প্রস্তুতি থাকলেও সেগুলো অনেকটাই জনশূন্য।

হাটের প্রবেশমুখে ইজারাদার প্রতিষ্ঠানের তদারকি কক্ষ পশু নামানোর জন্য দুটি পার্কিং ্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। বিকেলের দিকে ট্রাক থেকে গরু নামানোর দৃশ্য ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে জমে ওঠেনি বিক্রি।

পাবনার খামারি হাটে এনেছে ২০টি গরু। প্রতিষ্ঠানটির এক কর্মী জানান, “গত পরশুদিন এসেছি, এখনো কোনো গরু বিক্রি হয়নি। অনেকে দাম বলছে, কিন্তু কেনার আগ্রহ কম।

এছাড়া যশোর থেকে যৌথভাবে ২৫ টি গরু এনেছেন বিক্রেতা। তাঁদের একজন শরিফুল ইসলাম বলেন, “আমাদের গরুগুলোর দাম লাখ থেকে লাখ ২০ হাজার টাকার মধ্যে। সময় আছে, আশা করছি সব বিক্রি হয়ে যাবে।আমার সবচেয়ে ছোট গরুটির গোশতের ওজন হবে প্রায় ১০০ কেজি, দাম চাচ্ছি লাখ টাকা। বড় গরুগুলোর দাম দুই লাখ থেকে দের লাখ পর্যন্ত। এখনো কিছু বিক্রি হয়নি।

বর্তমানে হাটের প্রধান দর্শনার্থী আশপাশের বাসিন্দারা। তারা আসছেন গরু দেখতে, দরদাম করতে, তবে এখনো অনেকেই কেনাকাটায় গড়াচ্ছেন না।

হাট সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, ঈদের তারিখ যত ঘনিয়ে আসবে, ততই জমে উঠবে বেচাকেনা।