১০:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জিলহজের দশ দিন: জান্নাতের পথে বরকতময় দশক

আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত:

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন:

“আল্লাহর কাছে সবচেয়ে পছন্দনীয় দিনগুলো হলো জিলহজের প্রথম দশ দিনে করা নেক কাজ।”

লোকেরা বলল, “হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করাও কি এ কাজগুলোর চেয়ে উত্তম না?”

তিনি বললেন, “না, আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করাও উত্তম নয়, তবে সেই ব্যক্তি ছাড়া যে নিজের প্রাণ ও সম্পদ নিয়ে জিহাদে বের হয়ে সব কিছু আল্লাহর পথে উৎসর্গ করে (শহীদ হয়)।”

📚 সহিহ বুখারি, হাদিস: ৯৬৯

🌙 কুরআনের দৃষ্টিতে জিলহজের প্রথম দশ দিন

আল্লাহ তাআলা বলেন:

“শপথ প্রত্যুষের ও দশ রজনির।”

📖 সূরা আল-ফাজর, আয়াত: ১-২

মুফাসসিরগণ ব্যাখ্যা করেছেন যে, এখানে “দশ রজনি” বলতে জিলহজ মাসের প্রথম দশ রাতকে বোঝানো হয়েছে। এই ব্যাখ্যা ইবনে আব্বাস (রাঃ), ইবনে যুবাইর (রাঃ), মুজাহিদ (রহঃ) প্রমুখ সাহাবি ও তাবেয়িনদের থেকে বর্ণিত। ইমাম ইবনে কাসির (রহঃ) এই মতটিকে বিশুদ্ধ বলেছেন।

🕋 জিলহজের প্রথম দশ দিনের বিশেষ আমল

এই দশ দিনে কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমল করা সুন্নত ও মুস্তাহাব:

  1. সিয়াম পালন (রোজা রাখা): জিলহজের প্রথম নয় দিনে রোজা রাখা সুন্নত। বিশেষ করে ৯ জিলহজ, অর্থাৎ আরাফার দিনে রোজা রাখা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ। হাদিসে এসেছে, আরাফার দিনের রোজা পূর্ববর্তী ও পরবর্তী এক বছরের গুনাহ মাফের কারণ হয়।
  2. জিকির বৃদ্ধি: এই দিনগুলোতে বেশি বেশি তাহলীল (লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ), তাকবির (আল্লাহু আকবার) ও তাহমিদ (আলহামদুলিল্লাহ) পাঠ করা সুন্নত।
  3. কুরআন তিলাওয়াত দোয়া: এই সময়ে কুরআন তিলাওয়াত, দোয়া, ইস্তিগফার ও তওবা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
  4. দানসদকা: অসহায় ও দরিদ্রদের সাহায্য করা, দান-সদকা করা এই দিনগুলোর ফজিলত বাড়িয়ে দেয়।
  5. হজ কুরবানি: যারা সামর্থ্যবান, তাদের জন্য হজ পালন ও কুরবানি করা এই মাসের বিশেষ আমল।

 

এই ফজিলতপূর্ণ দিনগুলোতে আমাদের উচিত বেশি বেশি ইবাদত করা, পাপ থেকে বিরত থাকা এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করা।

 

ট্যাগ

শিক্ষা ভবনের সামনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

জিলহজের দশ দিন: জান্নাতের পথে বরকতময় দশক

প্রকাশিত হয়েছে: ০৭:১৯:৫৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫

আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত:

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন:

“আল্লাহর কাছে সবচেয়ে পছন্দনীয় দিনগুলো হলো জিলহজের প্রথম দশ দিনে করা নেক কাজ।”

লোকেরা বলল, “হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করাও কি এ কাজগুলোর চেয়ে উত্তম না?”

তিনি বললেন, “না, আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করাও উত্তম নয়, তবে সেই ব্যক্তি ছাড়া যে নিজের প্রাণ ও সম্পদ নিয়ে জিহাদে বের হয়ে সব কিছু আল্লাহর পথে উৎসর্গ করে (শহীদ হয়)।”

📚 সহিহ বুখারি, হাদিস: ৯৬৯

🌙 কুরআনের দৃষ্টিতে জিলহজের প্রথম দশ দিন

আল্লাহ তাআলা বলেন:

“শপথ প্রত্যুষের ও দশ রজনির।”

📖 সূরা আল-ফাজর, আয়াত: ১-২

মুফাসসিরগণ ব্যাখ্যা করেছেন যে, এখানে “দশ রজনি” বলতে জিলহজ মাসের প্রথম দশ রাতকে বোঝানো হয়েছে। এই ব্যাখ্যা ইবনে আব্বাস (রাঃ), ইবনে যুবাইর (রাঃ), মুজাহিদ (রহঃ) প্রমুখ সাহাবি ও তাবেয়িনদের থেকে বর্ণিত। ইমাম ইবনে কাসির (রহঃ) এই মতটিকে বিশুদ্ধ বলেছেন।

🕋 জিলহজের প্রথম দশ দিনের বিশেষ আমল

এই দশ দিনে কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমল করা সুন্নত ও মুস্তাহাব:

  1. সিয়াম পালন (রোজা রাখা): জিলহজের প্রথম নয় দিনে রোজা রাখা সুন্নত। বিশেষ করে ৯ জিলহজ, অর্থাৎ আরাফার দিনে রোজা রাখা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ। হাদিসে এসেছে, আরাফার দিনের রোজা পূর্ববর্তী ও পরবর্তী এক বছরের গুনাহ মাফের কারণ হয়।
  2. জিকির বৃদ্ধি: এই দিনগুলোতে বেশি বেশি তাহলীল (লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ), তাকবির (আল্লাহু আকবার) ও তাহমিদ (আলহামদুলিল্লাহ) পাঠ করা সুন্নত।
  3. কুরআন তিলাওয়াত দোয়া: এই সময়ে কুরআন তিলাওয়াত, দোয়া, ইস্তিগফার ও তওবা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
  4. দানসদকা: অসহায় ও দরিদ্রদের সাহায্য করা, দান-সদকা করা এই দিনগুলোর ফজিলত বাড়িয়ে দেয়।
  5. হজ কুরবানি: যারা সামর্থ্যবান, তাদের জন্য হজ পালন ও কুরবানি করা এই মাসের বিশেষ আমল।

 

এই ফজিলতপূর্ণ দিনগুলোতে আমাদের উচিত বেশি বেশি ইবাদত করা, পাপ থেকে বিরত থাকা এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করা।