দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে চলমান যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সদর্থক সাড়া দিয়েছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাস। তবে প্রস্তাবের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ক্ষেত্রে তারা ‘সংশোধনী’ চেয়েছে বলে জানিয়েছে।
হামাসের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, শনিবার (৩১ মে) তারা আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবের জবাব দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, গোষ্ঠীটি মূলত প্রস্তাবটি মেনে নিতে প্রস্তুত। তবে এতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ শর্ত সংযুক্ত করতে চায় তারা।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকোফ এই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেন, যা ইসরায়েল ইতোমধ্যেই গ্রহণ করেছে। কিন্তু প্রস্তাবে গাজায় ‘স্থায়ী যুদ্ধবিরতি’র বিষয়টি স্পষ্টভাবে উল্লেখ না থাকায় আপত্তি জানিয়েছে হামাস। তাদের দাবি, অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রতিশ্রুতি থাকতে হবে এবং আলোচনার মাধ্যমে সেই প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে হবে।
প্রস্তাব অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতি শুরু হলে সাত দিনের মধ্যে হামাস ১০ জন জীবিত ও ১৮ জন নিহত ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ ফেরত দেবে। হামাস জানিয়েছে, তারা জিম্মিদের মুক্তি দিতে প্রস্তুত, তবে সাতদিনে নয়— এটি ধাপে ধাপে সম্পন্ন করতে চায় তারা। তাদের আশঙ্কা, আগের মতোই জিম্মিদের মুক্তির পর ইসরায়েল আবার গাজায় আক্রমণ শুরু করতে পারে।
হামাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “পূর্বের যুদ্ধবিরতির সময়ও নেতানিয়াহু সরকার জিম্মিদের মুক্তি পাওয়ার পরপরই হামলা চালিয়েছিল। আমরা আর সেই প্রতারণা বরদাশত করবো না।”
এদিকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সম্প্রতি জিম্মি পরিবারের সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, “যুদ্ধ পুরোপুরি বন্ধ করার কোনো পরিকল্পনা আমাদের নেই।” এতে হামাসের শঙ্কা আরও বেড়েছে যে, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির চুক্তিকে শুধুমাত্র কৌশলগত সময়সীমা হিসেবে ব্যবহার করছে।
প্রকাশক ও সম্পাদক
© কপিরাইট সমাচার বিশ্ব ২০২৫ | আমাদের ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।