
রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বাতিল হওয়া নিবন্ধন পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়েছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত। রোববার (১ জুন) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে নির্বাচন কমিশনকে জামায়াতের নিবন্ধন ফিরিয়ে দিতে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে দলটির প্রতীক ‘দাঁড়িপাল্লা’ ব্যবহারের বিষয়ে কোনো আদেশ দেননি আদালত। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
আদালতে জামায়াতের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার এহসান এ. সিদ্দিকী, ব্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিক, অ্যাডভোকেট শিশির মনিরসহ একাধিক আইনজীবী। আদালত কক্ষে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম মাসুমসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
এর আগে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট একটি রিট আবেদনের রায়ে হাইকোর্ট জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে। এরপর ২০১৮ সালে নির্বাচন কমিশন দলটির নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। পরে আপিল করলেও ২০২3 সালে তা ‘ডিসমিস ফর ডিফল্ট’ বলে খারিজ হয়। অবশেষে গত ১৪ মে জামায়াতের আপিলের শুনানি শেষ হলে আজ (১ জুন) আপিল বিভাগ রায় দেন।
এ রায়ে দলটি রাজনৈতিক কার্যক্রম চালানোর আইনগত স্বীকৃতি ফিরে পেলেও, প্রতীক ব্যবহারের অনুমতির জন্য নির্বাচন কমিশনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের অপেক্ষা করতে হবে।