
বহুল আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত তারেক রহমান ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামির খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
রোববার (১ জুন) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ রাষ্ট্রপক্ষের লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি) গ্রহণ করে এই আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল জাব্বার ভূঁইয়া। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও মোহাম্মদ শিশির মনির। বিএনপির পক্ষ থেকে আরও উপস্থিত ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল, অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলামসহ আরও অনেকে।
গত ১২ জানুয়ারি হাইকোর্ট বিচারিক আদালতের দেয়া সাজা বাতিল করে সব আসামিকে খালাস দেন। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের বেঞ্চ রায়ে মন্তব্য করেন, “২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার বিচার ছিল অবৈধ, আইনে এটি টেকে না।”
২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১:
🔸 মৃত্যুদণ্ড: লুৎফুজ্জামান বাবর, আবদুস সালাম পিন্টু, মাওলানা তাজউদ্দীন, মুফতি মঈনউদ্দীন শেখ ওরফে আবু জান্দালসহ ১৯ জন।
🔸 যাবজ্জীবন: বিএনপি নেতা তারেক রহমান, হারিছ চৌধুরী, কায়কোবাদসহ আরও ১৯ জন।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এতে দলের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন এবং আহত হন তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের কয়েকশ নেতাকর্মী।
হামলায় বেঁচে গেলেও আজও অনেকেই শরীরে গ্রেনেডের স্প্লিন্টার নিয়ে বেঁচে আছেন, অনেকে চিরতরে পঙ্গু হয়ে গেছেন।
২১ আগস্ট হামলার মামলায় দায়েরকৃত দুই মামলার রায় ও অন্যান্য নথিপত্র মিলে ৩৭,৩৮৫ পৃষ্ঠার ডকুমেন্ট হাইকোর্টে জমা দেওয়া হয় ২০১৮ সালের ২৭ নভেম্বর। পরে ১০,৫০০ পৃষ্ঠার পেপারবুক প্রস্তুত করে শুরু হয় ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের কার্যক্রম।