০৩:৫৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ‘জুলাই গণহত্যা’র অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে গৃহীত

২০২৪ সালের ‘জুলাই গণহত্যা’ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান অভিযুক্ত করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। এই মামলার অপর দুই আসামি হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল মামুন।

রোববার (১ জুন) ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন ইউনিট আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগপত্র দাখিল করে। অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের জুলাই থেকে আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশে ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের বিরুদ্ধে পরিচালিত ‘রাষ্ট্রীয় গণহত্যা’র প্রধান নির্দেশদাতা ছিলেন শেখ হাসিনা।

এর আগে গত ১২ মে তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তারা এ সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালে দাখিল করেন। প্রতিবেদনে শেখ হাসিনাকে সরাসরি হত্যার নির্দেশদাতা ও পরিকল্পনাকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

🔻 ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ তদন্তের অগ্রগতি
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত ২০ এপ্রিলের মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশ দেয়। এই আদেশ দেন ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ। পরে সময় আবেদনের প্রেক্ষিতে তদন্ত আরও বাড়ানো হয়।

২০২৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে করা দুটি মামলায় তদন্ত শেষ করতে দুই মাস সময় বেঁধে দিয়েছিল ট্রাইব্যুনাল।

🔻 অভিযোগের বিবরণ
আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০২৪ সালের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সরকার ‘নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর নির্বিচার গুলি চালিয়ে পরিকল্পিত গণহত্যা’ পরিচালনা করে। এতে প্রায় ১,৫০০ মানুষের মৃত্যু ঘটে। অভিযোগে আরও বলা হয়, এই দমন-পীড়ন ছিল রাষ্ট্রীয়ভাবে অনুমোদিত এবং সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পরিচালিত।

ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ উপস্থাপনকালে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত চিফ প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম।

ট্যাগ

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ‘জুলাই গণহত্যা’র অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে গৃহীত

প্রকাশিত হয়েছে: ০৬:২৩:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫

২০২৪ সালের ‘জুলাই গণহত্যা’ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান অভিযুক্ত করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। এই মামলার অপর দুই আসামি হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল মামুন।

রোববার (১ জুন) ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন ইউনিট আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগপত্র দাখিল করে। অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের জুলাই থেকে আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশে ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের বিরুদ্ধে পরিচালিত ‘রাষ্ট্রীয় গণহত্যা’র প্রধান নির্দেশদাতা ছিলেন শেখ হাসিনা।

এর আগে গত ১২ মে তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তারা এ সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালে দাখিল করেন। প্রতিবেদনে শেখ হাসিনাকে সরাসরি হত্যার নির্দেশদাতা ও পরিকল্পনাকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

🔻 ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ তদন্তের অগ্রগতি
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত ২০ এপ্রিলের মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশ দেয়। এই আদেশ দেন ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ। পরে সময় আবেদনের প্রেক্ষিতে তদন্ত আরও বাড়ানো হয়।

২০২৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে করা দুটি মামলায় তদন্ত শেষ করতে দুই মাস সময় বেঁধে দিয়েছিল ট্রাইব্যুনাল।

🔻 অভিযোগের বিবরণ
আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০২৪ সালের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সরকার ‘নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর নির্বিচার গুলি চালিয়ে পরিকল্পিত গণহত্যা’ পরিচালনা করে। এতে প্রায় ১,৫০০ মানুষের মৃত্যু ঘটে। অভিযোগে আরও বলা হয়, এই দমন-পীড়ন ছিল রাষ্ট্রীয়ভাবে অনুমোদিত এবং সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পরিচালিত।

ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ উপস্থাপনকালে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত চিফ প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম।