১০:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হজের ফরজ কয়টি ও কী কী? হজের ৬টি ওয়াজিব জেনে নিন

হজের ফরজ কয়টি কী কী?

ইসলামি শরীয়তের বিধান অনুযায়ী, হজের ফরজ ৩টি। এ তিনটি কাজ অবশ্যই পালন করতে হবে, নতুবা হজ শুদ্ধ হবে না।

১️ ইহরাম বাঁধা:
নিয়ত করে নির্দিষ্ট স্থানে (মীকাত) ইহরাম পরিধান করা এবং হজের কার্যক্রম শুরু করা।

২️আরাফার ময়দানে অবস্থান:
৯ জিলহজ তারিখে যোহরের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফার ময়দানে অবস্থান করা। এটি হজের মূল রোকন। হাদীসে এসেছে:
“الحج عرفة” অর্থাৎ “হজ হলো আরাফা।”

3️ তাওয়াফে ইফাযা (তাওয়াফে যিয়ারত):
১০ জিলহজ তারিখ বা পরে কা‘বাঘর তাওয়াফ করা, যা হজের ফরজ তাওয়াফ হিসেবে গণ্য হয়।

হজের ওয়াজিব ৬টি

হজে কিছু কাজ রয়েছে যেগুলো ফরজ না হলেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এগুলো না করলে হজ পূর্ণাঙ্গ হয় না। সেগুলো হলো ৬টি ওয়াজিব:

১️ মীকাত থেকে ইহরাম বাঁধা:
মীকাত সীমার বাইরে থেকে হজের নিয়ত ও ইহরাম পরিধান করা ওয়াজিব।

২️ মুযদালিফায় রাত যাপন:
আরাফা থেকে ফেরার পর ৯ জিলহজ রাতে মুযদালিফায় রাত যাপন করতে হয়।

৩️ জামরাতে পাথর নিক্ষেপ (রামী):
মিনার তিনটি জামরায় ১০, ১১, ১২ (ও প্রয়োজনে ১৩) জিলহজ তারিখে পাথর নিক্ষেপ করা।

৪️ কুরবানি করা (হাদী):
তামাত্তু ও কিরান হজ আদায়কারীদের জন্য পশু কোরবানি করা ওয়াজিব।

৫️ সাফা মারওয়ার মাঝে সাঈ করা:
তাওয়াফের পর সাফা ও মারওয়ার মাঝখানে সাতবার যাওয়া-আসা করা।

৬️ বিদায়ী তাওয়াফ (তাওয়াফে বিদা’):
হজ শেষ করে মক্কা ছাড়ার আগে কা‘বাঘরের তাওয়াফ করা।

হজ পালনের ক্ষেত্রে ফরজ এবং ওয়াজিব বিষয়গুলো যথাযথভাবে পালন করা অত্যন্ত জরুরি। ইচ্ছাকৃতভাবে ফরজ ত্যাগ করলে হজ বাতিল হয়, আর ওয়াজিব ত্যাগ করলে দম (একটি পশু কোরবানি) দিতে হয়। তাই যাঁরা হজে যাচ্ছেন, তাঁদের এসব বিষয় সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা রাখা অপরিহার্য।

ইসলামি শরীয়তের নির্দেশনা মেনে হজ আদায় করলে যেমন আল্লাহর নৈকট্য লাভ সম্ভব, তেমনি ভুল-ত্রুটি হলে তা থেকে মুক্তির জন্য উচিত আগেভাগে প্রস্তুতি নেওয়া।

 

ট্যাগ

শিক্ষা ভবনের সামনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

হজের ফরজ কয়টি ও কী কী? হজের ৬টি ওয়াজিব জেনে নিন

প্রকাশিত হয়েছে: ০৬:০৫:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫

হজের ফরজ কয়টি কী কী?

ইসলামি শরীয়তের বিধান অনুযায়ী, হজের ফরজ ৩টি। এ তিনটি কাজ অবশ্যই পালন করতে হবে, নতুবা হজ শুদ্ধ হবে না।

১️ ইহরাম বাঁধা:
নিয়ত করে নির্দিষ্ট স্থানে (মীকাত) ইহরাম পরিধান করা এবং হজের কার্যক্রম শুরু করা।

২️আরাফার ময়দানে অবস্থান:
৯ জিলহজ তারিখে যোহরের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফার ময়দানে অবস্থান করা। এটি হজের মূল রোকন। হাদীসে এসেছে:
“الحج عرفة” অর্থাৎ “হজ হলো আরাফা।”

3️ তাওয়াফে ইফাযা (তাওয়াফে যিয়ারত):
১০ জিলহজ তারিখ বা পরে কা‘বাঘর তাওয়াফ করা, যা হজের ফরজ তাওয়াফ হিসেবে গণ্য হয়।

হজের ওয়াজিব ৬টি

হজে কিছু কাজ রয়েছে যেগুলো ফরজ না হলেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এগুলো না করলে হজ পূর্ণাঙ্গ হয় না। সেগুলো হলো ৬টি ওয়াজিব:

১️ মীকাত থেকে ইহরাম বাঁধা:
মীকাত সীমার বাইরে থেকে হজের নিয়ত ও ইহরাম পরিধান করা ওয়াজিব।

২️ মুযদালিফায় রাত যাপন:
আরাফা থেকে ফেরার পর ৯ জিলহজ রাতে মুযদালিফায় রাত যাপন করতে হয়।

৩️ জামরাতে পাথর নিক্ষেপ (রামী):
মিনার তিনটি জামরায় ১০, ১১, ১২ (ও প্রয়োজনে ১৩) জিলহজ তারিখে পাথর নিক্ষেপ করা।

৪️ কুরবানি করা (হাদী):
তামাত্তু ও কিরান হজ আদায়কারীদের জন্য পশু কোরবানি করা ওয়াজিব।

৫️ সাফা মারওয়ার মাঝে সাঈ করা:
তাওয়াফের পর সাফা ও মারওয়ার মাঝখানে সাতবার যাওয়া-আসা করা।

৬️ বিদায়ী তাওয়াফ (তাওয়াফে বিদা’):
হজ শেষ করে মক্কা ছাড়ার আগে কা‘বাঘরের তাওয়াফ করা।

হজ পালনের ক্ষেত্রে ফরজ এবং ওয়াজিব বিষয়গুলো যথাযথভাবে পালন করা অত্যন্ত জরুরি। ইচ্ছাকৃতভাবে ফরজ ত্যাগ করলে হজ বাতিল হয়, আর ওয়াজিব ত্যাগ করলে দম (একটি পশু কোরবানি) দিতে হয়। তাই যাঁরা হজে যাচ্ছেন, তাঁদের এসব বিষয় সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা রাখা অপরিহার্য।

ইসলামি শরীয়তের নির্দেশনা মেনে হজ আদায় করলে যেমন আল্লাহর নৈকট্য লাভ সম্ভব, তেমনি ভুল-ত্রুটি হলে তা থেকে মুক্তির জন্য উচিত আগেভাগে প্রস্তুতি নেওয়া।