
গাজীপুরের টঙ্গী এলাকায় অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে নালার স্বাভাবিক পানি প্রবাহ নিশ্চিত করতে পরিচালিত হয়েছে বিশেষ অভিযান। টঙ্গী জোনের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা জহিরুল ইসলামের নেতৃত্বে পরিচালিত এই উচ্ছেদ অভিযানে স্থানীয় প্রশাসন ও সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।
অভিযানে এলাকার দীর্ঘদিনের দখল হওয়া ড্রেন ও নালা থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। ফলে জলাবদ্ধতার আশঙ্কা কমে আসবে বলে আশা করছে স্থানীয়রা।
উচ্ছেদ অভিযান কী কারণে?
টঙ্গী এলাকার বিভিন্ন স্থানে নালার ওপর বাড়ি, দোকানপাট ও স্লাব বসিয়ে দীর্ঘদিন ধরে পানি প্রবাহ বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। এর ফলে বর্ষা মৌসুমে পানিবদ্ধতা, দুর্গন্ধ ও মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পায়। এসব কারণেই দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয় প্রশাসন।
আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তার বক্তব্য
অভিযান শেষে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম বলেন—
“নালার স্বাভাবিক প্রবাহ ফিরিয়ে আনা ও নগরবাসীর দুর্ভোগ লাঘব করাই ছিল আমাদের মূল লক্ষ্য। কেউ যদি আবার অবৈধভাবে দখল করে, তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
অভিযানের চিত্র:
- 🏚️ ১০টির বেশি স্থাপনা উচ্ছেদ
- 🛠️ নালা পরিষ্কারে ব্যবহৃত হয়েছে এক্সকাভেটর
- 🧹 উচ্ছেদের পরপরই নালায় পানি চলাচল শুরু
জনসাধারণের প্রতিক্রিয়া
এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন—
“অনেকদিন পর দেখলাম প্রশাসন সঠিকভাবে ব্যবস্থা নিচ্ছে। আশা করি নিয়মিত নজরদারি থাকবে।”
পরবর্তী পদক্ষেপ
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পুরো টঙ্গী জোনেই পর্যায়ক্রমে অবৈধ দখল ও জলাবদ্ধতার বিরুদ্ধে অভিযান চলবে। একইসাথে নাগরিক সচেতনতাও বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে।