১০:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

“ডিসেম্বরে ভোট না হলে রাজপথ গরম হবে: বিরোধী জোট”

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুস জাতীয় নির্বাচনের সময়সূচি তিন মাস পেছানোর একটি প্রস্তাব উত্থাপন করলেও, তা প্রত্যাখ্যান করেছে অন্তত ২০টি প্রধান রাজনৈতিক দল। এসব দলের মধ্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) অন্যতম। তারা একযোগে ডিসেম্বর ২০২৫-এর মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠানের জোর দাবি জানিয়েছে।

বিরোধী দলগুলোর মতে, সময়সূচি পিছিয়ে দেওয়া হলে তা সরকারের পক্ষপাতদুষ্ট হস্তক্ষেপ এবং স্বচ্ছ নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক বিবৃতিতে বলেন, “ড. ইউনুসকে আমরা সম্মান করি, কিন্তু তার প্রস্তাব জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন নয়। নির্বাচন বিলম্ব হলে গণআন্দোলনের সূত্রপাত হবে।”

সরকারপন্থী কিছু দল যদিও নির্বাচন পেছানোর যুক্তি হিসেবে প্রশাসনিক প্রস্তুতি ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের আগমনের সুযোগ বাড়ানোর কথা বলছে, তবে বিরোধী জোটের কড়া অবস্থান রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন উত্তেজনা তৈরি করেছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই অচলাবস্থার জেরে রাজনৈতিক মেরুকরণ আরও তীব্র হতে পারে। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য জানান, “নির্বাচন যদি আরও বিলম্বিত হয় এবং বিরোধী পক্ষ তা মেনে না নেয়, তবে একটি সহিংস রাজনৈতিক ধাক্কার আশঙ্কা অস্বীকার করা যায় না।”

এদিকে, রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় ছোট-বড় বিক্ষোভ ও সমাবেশ অব্যাহত রয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীও সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলে জানা গেছে।

ড. ইউনুস তার প্রস্তাবকে ‘গণতান্ত্রিক পরিবেশ রক্ষার কৌশলগত পদক্ষেপ’ বলে আখ্যায়িত করলেও, অধিকাংশ বিরোধীদল এটিকে ‘নেপথ্য নাটকের অংশ’ বলে সমালোচনা করছে।

এখন রাজনৈতিক সমঝোতা হবে, নাকি উত্তেজনা আরও বাড়বে—তা নির্ভর করছে আসন্ন সপ্তাহগুলোর রাজনৈতিক অগ্রগতি ও সংলাপের ওপর।

ট্যাগ

সাইয়েদুল ইস্তেগফার : সর্বশ্রেষ্ঠ ক্ষমা প্রার্থনার দোয়া

“ডিসেম্বরে ভোট না হলে রাজপথ গরম হবে: বিরোধী জোট”

প্রকাশিত হয়েছে: ০৭:০৪:২৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুস জাতীয় নির্বাচনের সময়সূচি তিন মাস পেছানোর একটি প্রস্তাব উত্থাপন করলেও, তা প্রত্যাখ্যান করেছে অন্তত ২০টি প্রধান রাজনৈতিক দল। এসব দলের মধ্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) অন্যতম। তারা একযোগে ডিসেম্বর ২০২৫-এর মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠানের জোর দাবি জানিয়েছে।

বিরোধী দলগুলোর মতে, সময়সূচি পিছিয়ে দেওয়া হলে তা সরকারের পক্ষপাতদুষ্ট হস্তক্ষেপ এবং স্বচ্ছ নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক বিবৃতিতে বলেন, “ড. ইউনুসকে আমরা সম্মান করি, কিন্তু তার প্রস্তাব জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন নয়। নির্বাচন বিলম্ব হলে গণআন্দোলনের সূত্রপাত হবে।”

সরকারপন্থী কিছু দল যদিও নির্বাচন পেছানোর যুক্তি হিসেবে প্রশাসনিক প্রস্তুতি ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের আগমনের সুযোগ বাড়ানোর কথা বলছে, তবে বিরোধী জোটের কড়া অবস্থান রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন উত্তেজনা তৈরি করেছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই অচলাবস্থার জেরে রাজনৈতিক মেরুকরণ আরও তীব্র হতে পারে। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য জানান, “নির্বাচন যদি আরও বিলম্বিত হয় এবং বিরোধী পক্ষ তা মেনে না নেয়, তবে একটি সহিংস রাজনৈতিক ধাক্কার আশঙ্কা অস্বীকার করা যায় না।”

এদিকে, রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় ছোট-বড় বিক্ষোভ ও সমাবেশ অব্যাহত রয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীও সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলে জানা গেছে।

ড. ইউনুস তার প্রস্তাবকে ‘গণতান্ত্রিক পরিবেশ রক্ষার কৌশলগত পদক্ষেপ’ বলে আখ্যায়িত করলেও, অধিকাংশ বিরোধীদল এটিকে ‘নেপথ্য নাটকের অংশ’ বলে সমালোচনা করছে।

এখন রাজনৈতিক সমঝোতা হবে, নাকি উত্তেজনা আরও বাড়বে—তা নির্ভর করছে আসন্ন সপ্তাহগুলোর রাজনৈতিক অগ্রগতি ও সংলাপের ওপর।